প্রতীকী ছবি।
স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা পথে নেমেছেন অনেক আগেই। মুখ খুলেছেন শিক্ষকদের একটা বড় অংশও। কিন্তু এত দিন বিষয়টি নিয়ে নীরবই ছিল সিলিকন ভ্যালি। মঙ্গলবার দুপুরের ঘটনার পরে এ বার অস্ত্র আইনে রাশ টানা নিয়ে সরব হতে শুরু করেছে আমেরিকার তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি। অন্তত টুইটার, উবেরের মতো প্রথম সারির তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার সিইওরা টুইটারে হ্যাশট্যাগ দিয়ে ‘নেভার এগেন’ বা ‘এন্ড গান ভায়োলেন্স’-এর মতো শব্দ ব্যবহার করেছেন।
কাল ইউটিউবের সদর দফতরে বন্দুক হাতে ঢুকে পড়ে এক মহিলা। কেউ মারা না গেলেও আহত হয়েছেন ওই সংস্থার চার কর্মী। পরে নিজের গুলিতে আত্মঘাতী হয় নাসিম নাজাফি আগদাম নামে ওই বন্দুকবাজ। এর পরেই আমেরিকার ঢিলেঢালা অস্ত্র আইনে রাশ টানার পক্ষে কথা বলতে শুরু করেছে সিলিকন ভ্যালির একাংশ। এর আগে সমকাম বিবাহ, জলবায়ু পরিবর্তন এমনকী অভিবাসন সংস্কার নীতি নিয়েও এই সব সংস্থাকে নিজেদের মত প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু অস্ত্র আইন নিয়ে মুখ খোলার ঘটনা এই প্রথম।
ইউটিউবের কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা দিয়েছেন অ্যাপল প্রধান টিম কুক। একই ভাবে মুখ খুলেছে টুইটার, উবেরের মতো সংস্থা। তবে একধাপ এগিয়ে টুইটার প্রধান জ্যাক ডরসি লিখেছেন, ‘‘আমাদের স্কুল বা অফিসে এই ধরনের হামলা আর হবে না ধরে নিয়ে শুধু প্রার্থনা করলে তো হবে না। এ বার নীতি শোধরানোর সময় এসেছে।’’