ফোনের মাধ্যমে বিয়ে। সেই সূত্রেই কি হিজ়বুল্লা ঘাঁটি চিনে ফেলেছিল ইজ়রায়েল? —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
চারটি বিয়ে। চারটি ফোন। আর তার সূত্র ধরেই কি লেবাননের দুর্ভেদ্য হিজ়বুল্লা ঘাঁটিতে ঢুকে পড়ল ইজ়রায়েল? ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এর একটি প্রতিবেদনে তেমনই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। গত ৩০ জুলাই ইজ়রায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় প্রাণ হারান হিজ়বুল্লা কম্যান্ডার ফুয়াদ শুক্র। তার পরেই তেহরানে ইজরায়েলেরই হামলায় প্রাণ হারান হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া।
সংবাদপত্রটির প্রতিবেদন অনুসারে, ইজ়রায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ জানতে পারে যে, শুক্র একই সঙ্গে চার জনকে বিয়ে করতে চলেছেন। চার জনকে বিয়ে করার ইচ্ছা থাকলেও শুক্রের মধ্যে চার পত্নী রাখা নিয়ে কুণ্ঠাবোধ হচ্ছিল। মোসাদ জানতে পারে যে, চার বিয়ের বিষয়ে পরামর্শ চাইতে হিজ়বুল্লার তৎকালীন সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা হাশেম সাফিদ্দিনের শরণাপন্ন হন শুক্র। সাফিদ্দিনের পরামর্শেই ফোনের মাধ্যমে চার জনকে বিয়ে করেন ওই হিজ়বুল্লা কম্যান্ডার। মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কই শুক্রের গোপন ঘাঁটি চিনিয়ে দেয় ইজ়রায়েলকে।
শুক্রকে বহু দিন ধরেই খুঁজছিল ইজ়রায়েল। ৩০ জুলাই ফোন করেই বেরুটের গোপন আস্তানা থেকে বার করে আনা হয় শুক্রকে। তার পরেই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে মারা হয় শুক্র এবং তাঁর এক স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে। নিহতদের তালিকায় ছিলেন আরও দুই মহিলাও। যদিও তাঁদের পরিচয় জানা যায়নি।