প্রতীকী চিত্র।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কতটা কার্যকর মডার্নার তৈরি টিকা, তার ফল হয়ত নভেম্বরের শেষেই জানা যাবে, বুধবার ঘোষণা করল সংস্থা। ইতিমধ্যে প্রথম ধাপের ট্রায়ালের তথ্য সংগ্রহ করা সম্পূর্ণ হয়েছে। অপর টিকা নির্মাতা সংস্থা ফাইজার ঘোষণা করেছে, তাদের তৈরি প্রতিষেধক মানবশরীরে ৯০ শতাংশ কার্যকর। তারপরেই মডার্নার পক্ষ থেকেও নতুন ঘোষণার ইঙ্গিত মিলেছে।
এখনও পর্যন্ত ৩০ হাজার মানুষের শরীরে এই টিকার পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেক মানুষের শরীরে দেওয়া হয়েছে আসল টিকা আর অর্ধেকের শরীরে সাধারণ প্লাসিবো (অর্থাৎ সাধারণ স্যালাইন, যেটিতে শরীরের উপর কোনও প্রভাব পড়বে না)। কিন্তু মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এফডিএ)-এর কাছে তথ্য পাঠাতে হলে স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ৫৩ জনের করোনা আক্রান্ত হওয়া জরুরি ছিল। বুধবার সেই ৫৩ জনের লক্ষ্যে পৌঁছে গিয়েছে গবেষণা। তাই সংস্থা এখন প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে। কিন্তু এখনও স্পষ্ট নয় যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের প্লাসিবো দেওয়া হয়েছিল না টিকা দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: অ্যাস্ট্রাজেনেকার চার কোটি করোনা টিকা তৈরি করেছে সেরাম ইনস্টিটিউট
মডার্না মনে করছে, এই মাসের শেষের মধ্যেই এই বিষয়ে তথ্য বিশেষজ্ঞ কমিটি প্রকাশ্যে আনবে। আমেরিকায় যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে ভ্যাকসিনের তথ্য দ্রুত সামনে আনা জরুরি। সংস্থার আশঙ্কা, রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনার মধ্যেই স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে আরও অনেকে করোনা আক্রান্ত হবেন।
আরও পড়ুন: আত্মনির্ভর ভারত অভিযান ৩ ঘোষণা নির্মলার, জোর কর্মসংস্থান তৈরিতে
মডার্নার বিশেষজ্ঞ দল মনে করছে, যেহেতু ফাইজারের মতো একই এমআরএনএ মডার্নার টিকায় ব্যবহার করা হয়েছে, সেহেতু এখানেও ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কার্যকারিতার ফল পাওয়া যাবে। যদিও সবটাই সম্ভাবনা, চূড়ান্ত ফলের জন্য আরও কয়েকটি দিন অপেক্ষা করতে হবে।