কান্নায় ভেঙে পড়েছে খুদে। ছবি সৌজন্য ইনস্টাগ্রাম।
হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ….! পর্দাটা সরতেই সকলে সমস্বরে বলে উঠেছিল বছর এগারোর জাস্টিনকে লক্ষ্য করে। হকচকিয়ে গিয়েছিল সে। বিষয়টি উপলব্ধি করতেই চোখ থেকে অশ্রুধারা নেমে এসেছিল জাস্টিনের। ক্যানসারের সঙ্গে যুঝতে যুঝতে সে ভুলেই গিয়েছিল নিজের জন্মদিনের কথা। কিন্তু সেই দায়িত্ব পালন করলেন হাসপাতালেরই চিকিৎসক, নার্সরা। এ ভাবে যে হাসপাতালেই জন্মদিন পালন হবে ভাবতে পারেনি সে। এমনকি জাস্টিনের মা-বাবাও।
ক্যানসারে আক্রান্ত জাস্টিন। চিকিৎসা করাতে নিয়মিত হাসপাতালে আসতে হয় তাকে। চিকিৎসা শেষে আবার বাড়ি ফিরে যায়। হাসপাতালই যেন তাঁর দ্বিতীয় বাড়ি হয়ে উঠেছিল।
৫ মে ছিল শিশুটির জন্মদিন। চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিল সে। আচমকাই যেন ছন্দপতন হল। জাস্টিন এবং তার অভিভাবকরা জানতেনই না যে তাঁদের জন্য কী অপেক্ষা করছে। পর্দার ও পারে তখন জাস্টিন দাঁড়িয়ে। আর এ পারে তখন জন্মদিনের কেক সাজিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য অপেক্ষা করছিলেন হাসপাতালের কর্মীরা। পর্দা সরতেই সকলে সমস্বরে জাস্টিনকে শুভেচ্ছা জানাতে চোখের জল ধরে রাখতে পারেনি সে। তার জন্মদিনও যে এ ভাবে পালিত হবে আশাই করেনি। আর সেই আবেগকে ধরে রাখতে পারেনি সে। জাস্টিনের সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে। যা দেখে সকলেই জাস্টিনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।