১৯৪৫ সালের ৬ অগস্ট। হিরোশিমায় আছড়ে পড়ল ‘লিটল বয়’। মার্কিন পরমাণু বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল জাপানের এই শহর। মৃত্যু হল লক্ষাধিক মানুষের। কিন্তু তার পর? জেনে নিন হিরোশিমা বিস্ফোরণ নিয়ে কিছু চমকে দেওয়া কিছু তথ্য।
আতঙ্কে মোড়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে এই বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় এক লক্ষ চল্লিশ হাজার মানুষের। বেসরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা প্রায় আড়াই গুণ। শহরের নব্বই শতাংশ বাড়ি একেবারে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।
মার্কিন যুদ্ধবিমান ‘এনোলা গে’-র শরীর থেকে আকাশ কালো করে নেমে এসেছিল সাক্ষাৎ মৃত্যু।
হিরোশিমা বিস্ফোরণে বেঁচে যান সুতোমু ইয়ামাগুচি নামে এক ব্যক্তি। এরপর নাকি কাজে যোগ দিতে ট্রেন ধরে নাগাসাকিও পৌঁছন। ৯ অগস্ট নাগাসাকি বিস্ফোরণ থেকেও বেঁচে যান তিনি।
‘এলোনা গে’-র ১২ জন সদস্যের মাত্র তিন জন এই অভিযানের আসল কারণটা জানতেন।
সেই সময় আমেরিকা যতটা ইউরেনিয়াম জোগাড় করতে পেরেছিল, তার পুরোটাই নাকি বোমা বানাতে খরচ করেছিল।
মাত্র ০.৭ গ্রাম ইউরেনিয়ামের কারণেই সবচেয়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয় বলে জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। এক ডলারের নোটের চেয়েও হালকা একটা পদার্থের কারণে এক ধাক্কায় প্রাণ হারান ৮০ হাজার মানুষ।
বিস্ফোরণের আগে লিফলেট ফেলে সতর্ক করা হয়েছিল হিরোশিমাবাসীকে। যাতে তাঁরা নিরাপদ এলাকায় চলে যেতে পারেন। ১৫ মিনিট অন্তর রেডিয়োতে সতর্ক করা হয়েছিল।
হিরোশিমা হামলার পরেও লিফলেট ফেলে নাকি বলা হয়েছিল, মাত্র একটা বোমাই ফেলা হয়েছে! সতর্ক করা হয়েছিল নাগাসাকির বাসিন্দাদেরও।
বিস্ফোরণের কয়েক সপ্তাহ পর ধ্বংসলীলার রঙিন ভিডিয়ো ফুটেজ তুলে রেখেছিল আমেরিকা। মার্কিন সেনাবাহিনী এ কথা গোপন করেছিল। ২০১১ সালে এই তথ্য প্রকাশ্যে আসে।
তাইকোকু ব্যাঙ্কের একটা ভল্টের কোনও রকম ক্ষতি হয়নি এই বিস্ফোরণে। আমেরিকার একটি সংস্থার তৈরি ছিল ওই ভল্ট! প্রতীকী ছবি: শাটারস্টক।
১৯৮৩ সালে বেয়ারফুট জেন নামে একটি গ্রাফিক নভেল-কমিক বই (মাঙ্গা) লেখা হয়। একটি শিশুর ভাষ্যে উঠে আসে পরমাণু বিস্ফোরণের কথা।
হিরোশিমা থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে ছিলেন শিগেকি তানাকা। বয়স ১৩। বোমা ফেলা দেখেছিলেন, বোমার শব্দও পেয়েছিলেন। ছয় বছর পর বস্টন ম্যারাথন জয় করেন তিনি।