তীরে এসে ডুবেছে তরী। প্রচার পর্বে প্রচুর মার্জিনে এগিয়ে থাকার পরেও বাজিমাত করে গিয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট হওয়ার স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গিয়েছে হিলারি ক্লিন্টনের। নির্বাচনে এ হেন পরাজয়ের জন্য আমেরিকার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইকেই দুষলেন প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি।
তাঁর নির্বাচনী প্রচারে এত দিন যাঁরা টাকা ঢেলেছেন, সেই ডেমোক্র্যাটিক ফান্ডরেইজারদের সঙ্গে গত কাল ভি়ডিও কনফারেন্স করেন হিলারি। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে আলোচনা চলে সেখানে। সংবাদমাধ্যমের অবশ্য প্রবেশ নিষেধ ছিল সেই আলোচনায়। কিন্তু পরে সেই কথোপকথনের বিষয়বস্তু প্রকাশ্যে চলে এসেছে। নির্বাচনী বিপর্যয়ের জন্য ফান্ডরেইজারদের কাছে সরাসরি এফবিআই-এর ডিরেক্টর জেমস কুমেকেই দায়ী করেছেন হিলারি। ভোট গ্রহণের মাত্র কয়েক দিন আগে ই-মেল কাণ্ড নিয়ে ফের তদন্ত শুরুর কথা ঘোষণা করেন কুমে। এ নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসকে তিনি একটি চিঠি দেন অক্টোবরের শেষের দিকে। বিদেশসচিব থাকাকালীন ব্যক্তিগত সার্ভার থেকে হিলারি যে সব মেল পাঠিয়েছিলেন, সেগুলি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে তদন্ত চালাচ্ছে এফবিআই। যদিও ভোটের মাত্র দু’দিন আগে, ক্লিন্টনকে ক্লিনচিট দেয় এফবিআই। কিন্তু তাতে শেষ পর্যন্ত আর কোনও লাভ হয়নি বলে আক্ষেপ করেছেন হিলারি।
হিলারির বক্তব্য, কুমের চিঠির আগে পর্যন্ত বেশ কয়েকটি রাজ্যে ভাল মার্জিনে এগিয়ে ছিলেন তিনি। আরিজোনা বরাবরই রিপাবলিকানদের শক্ত ঘাঁটি। ওই রাজ্যেই একমাত্র ট্রাম্পের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছিল তাঁর। কিন্তু কুমের ঘোষণার ন’দিনের মধ্যেই কয়েক লক্ষ পপুলার ভোট হিলারির বিরুদ্ধে পড়ে গিয়েছিল। পরবর্তী কালে ইলেক্টোরেট কলেজের ভোটে যার প্রভাব পড়ে। হেরে যান প্রাক্তন বিদেশসচিব।