যত দ্রুত এবং বেশি সংখ্যক মানুষে টিকা নেবেন, তত শক্তি হারাবে কোভিড ১৯। এই মন্ত্রেই এগিয়ে চলেছে সারা বিশ্ব। টিকাকরণের লক্ষ্য পূরণে আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছে প্রতিটি দেশ। অতিমারিতে স্তব্ধ হয়ে যাওয়া বিভিন্ন জায়গাকে কাজে লাগানো হচ্ছে টিকাকেন্দ্র হিসাবে। এই প্রতিবেদনে বিশ্বের এমনই কিছু টিকাকেন্দ্রের ঠিকানা থাকল যা সত্যিই বিস্ময়কর।
কাজাখস্তানের আলমাটির মেগা পার্ক মলের টিকটক স্টুডিয়োকেই করে ফেলা হয়েছিল টিকাকেন্দ্র। এই দেশ রাশিয়ার স্পুটনিক ভি, চিনের করোনাভ্যাক, হায়াত-ভ্যাক্স এবং দেশীয় কোয়াজভ্যাক প্রতিষেধক দিচ্ছে।
ব্যাঙ্ককের একটি শপিং মলকে করে ফেলা হয়েছিল কোভিড টিকাকেন্দ্র। ব্যাঙ্ককের প্যারাগন শপিং মল-এ অনেককে অ্যাস্ট্রাজেনেকা প্রতিষেধক দেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
মেক্সিকোয় আবার অফিস ফেরত কর্মচারীদের একটি বাসই হয়ে উঠেছিল টিকাকেন্দ্র। বাসের মধ্যে থাকা কর্মচারীদের মধ্যে যাঁদের প্রতিষেধক নেওয়া হয়নি সকলকেই ফাইজারের টিকা দেওয়া হয়।
ব্রিটেনে সলিসবেরি গির্জার ভিতরে প্রার্থনা করতে আসা সকলকেই প্রতিষেধক নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন গির্জা কর্তৃপক্ষ।
নিউ ইয়র্ক শহরের আমেরিকান মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রি-ও পিছিয়ে নেই। ইচ্ছুকরা এখানে গিয়েও প্রতিষেধক নিয়েছেন। এটা যে টিকাকেন্দ্র হয়ে গিয়েছে তা বোঝাতে জাদুঘরে রাখা বিশালাকার নীল তিমির পার্শ্ব পাখনার উপর ব্যান্ডএড লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
টিকা নিতে যাতে ভয় না পান তাই টিকাকরণের সময় মন অন্য দিকে ঘুরিয়ে রাখার অভিনব বন্দোবস্ত করেছিল প্যারিস। প্যারিসের সেন্ট কেয়োন্টিন এন ওয়াইভেলাইনস-এ একটি সাইক্লিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকেই টিকাকেন্দ্রে পরিণত করা হয়। চারপাশে সাইক্লিং অনুশীলন দেখতে দেখতেই টিকা নিতে পারবেন।
একটি টিকা নিলেই সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পানীয়! ইজরায়েলের তেল আভিভে সাধারণ মানুষকে এ ভাবেই টিকা নিতে উৎসাহ দিয়েছে প্রশাসন। তার জন্য তেল আভিভের একটি পানশালাকেই টিকাকেন্দ্রে পরিণত করে ফেলা হয়েছিল।
ইউরোপের বালকানস-এর মন্টেনেগ্রোর কোলাসিন পুরসভা দরজায় দরজায় টিকা নিয়ে পৌঁছে যেতে শুরু করেছে। এই পুরসভার অন্তর্গত এক গ্রামে এ ভাবেই খোলা আকাশের নীচে টিকা নিচ্ছেন এক ইচ্ছুক ব্যক্তি। পাশেই তৈরি হচ্ছে দেশি মদ।
ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যাম্পিয়নস ক্লাবের বেন হিল গ্রিফিন স্টেডিয়ামেও টিকা নিয়েছেন অনেকে। এই ফুটবল স্টেডিয়ামকেও টিকাকেন্দ্রে পরিণত করা হয়েছিল। এক সময় গ্যালারিতে বসে ফুটবল দেখা দর্শকদের অনেকেই এখানে টিকা নিয়েছেন।
টিকা দিয়ে নতুনও নিরাপদ জীবনের রাস্তা দেখিয়েছে ফিলাডেলফিয়ার থিয়েটার অব লিভিং আর্টস-ও। অতিমারির কারণে এটি এখন বন্ধ রয়েছে। প্রশাসন সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়েছেন।