ফাইল চিত্র।
বছর শেষে মহামারির রূপ নিলেও আদতে ২০১৯-এর অগস্ট থেকেই চিনের উহানে করোনা সংক্রমণ শুরু হয়েছিল বলে দাবি হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের। বাসিন্দাদের হাসপাতালে যাতায়াতের উপগ্রহ চিত্রের পাশাপাশি ইন্টারনেট থেকে পাওয়া শহরের বাসিন্দাদের তথ্যের ভিত্তিতে এই গবেষণা চালানো হয়েছে বলে জানান গবেষকেরা। যদিও রিপোর্টটি ‘হাস্যকর’ বলে খারিজ করে দিয়েছে চিন।
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯-এর ডিসেম্বরে সংক্রমণের প্রথম ভরকেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত উহান থেকে প্রথম সংক্রমিতের নাম নথিভুক্ত হয়। তবে উহানের হাসপাতালগুলির পার্কিংয়ের জায়গার কয়েক মাস আগের উপগ্রহ চিত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে, সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছিল তখনই। পাশাপাশি ডিসেম্বরের বেশ কিছু আগে থেকেই কাশি বা ডায়েরিয়ার উপসর্গ নিয়ে উহানে অনলাইন সার্চ এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। বিষয়গুলি থেকে সরাসরি কিছু প্রমাণ না হলেও নয়া করোনাভাইরাসের সঙ্গে এর যোগ রয়েছে বলে দাবি রিপোর্টের। যদিও মঙ্গলবার চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রিপোর্টের দাবি উড়িয়ে বলেছেন, ‘‘হাসপাতালের ভিড় থেকে সংক্রমণের পথ মাপার চেষ্টা খুবই হাস্যকর।’’
আরও পড়ুন: পুলিশে বরাদ্দ ছাঁটাই নয়, জানালেন ট্রাম্প
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র তরফে আজও জানানো হয়েছে যে বিশ্ব জুড়ে সংক্রমণ নয়া রেকর্ড ছুঁয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১,৩৬,০০০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি। এঁদের বেশির ভাগই আমেরিকা এবং দক্ষিণ এশিয়ার। পাশাপাশি সংক্রমণ ছড়ানো নিয়ে নয়া বিতর্কে আজ কিছুটা সুর বদলেছে হু। সোমবার সংস্থাটি জানিয়েছিল, উপসর্গহীন রোগীর থেকে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা ‘অত্যন্ত বিরল’। এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় আজ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একটি প্রশ্নোত্তর পর্বে হু-এর শীর্ষকর্তা মাইক রায়ান জানান, তাঁদের এই পর্যবেক্ষণ সার্বিক নয়। কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।