Israel-Hamas Conflict

দেহ হস্তান্তরে বিতর্ক, এ বার জীবিত দুই ইজ়রায়েলি পণবন্দিকে মুক্তি দিল হামাস, তালিকায় আরও চার

বৃহস্পতিবার হামাস চার পণবন্দির কফিন তুলে দিয়েছিল ‘রেড ক্রস’-এর হাতে। সেই কফিনগুলির মধ্যে বন্দি ছিল দুই শিশু এবং তাঁদের মায়ের দেহ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:১২
Share:
Hamas released two more Israeli hostages to Red Cross

আরও পণবন্দি মুক্তি দিল হামাস। ছবি: পিটিআই।

যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে আরও দুই ইজ়রায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিল প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। মুক্তির আগে গাজ়ায় জনসমক্ষে তাঁদের হাঁটানো হয়। তার পর মানবাধিকার সংগঠন ‘রেড ক্রস’-এর হাতে তুলে দেওয়া হয় তাঁদের। মুক্তিপ্রাপ্ত দুই ইজ়রায়েলি বন্দি হলেন তাল শোহম এবং আরেভু মেঙ্গিস্তু। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসপন্থীদের হাতে বন্দি হন তাঁরা। শুধু এই দু’জন নন, আরও চার জন বন্দিকে ছাড়া হবে বলেও জানিয়েছে হামাস।

Advertisement

বৃহস্পতিবার হামাস চার পণবন্দির কফিন তুলে দিয়েছিল ‘রেড ক্রস’-এর হাতে। সেই কফিনগুলির মধ্যে বন্দি ছিল দুই শিশু এবং তাঁদের মায়ের দেহ। আর এক জন বৃদ্ধের দেহও ইজ়রায়েলি সেনার হাতে তুলে দেয় হামাস। ওই দুই শিশুদের যখন পণবন্দি করা হয়, তখন তাদের এক জনের বয়স চার বছর, অন্য জনের বয়স মাত্র ন’মাস। ওই দুই শিশুর মা শিরি বিবাসকেও পণবন্দি করেন হামাসপন্থীরা।

চার বন্দির দেহ পাঠানোয় হামাসের উপর ক্ষুব্ধ ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। হামাসকে তিনি ‘দানব’ বলে কটাক্ষ করেছেন। একই সঙ্গে ‘খুনি’দের ধ্বংস করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন নেতানিয়াহু। সেই ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বন্দি মুক্তি দিল হামাস।

Advertisement

গত দেড় বছর ধরে হামাস-ইজ়রায়েল সংঘর্ষে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে গাজ়া। শেষ পর্যন্ত কাতারের মধ্যস্থতায় এবং আমেরিকা ও মিশরের প্রচেষ্টায় গত ১৫ জানুয়ারি রাতে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ইজ়রায়েল সরকার এবং হামাস। যুদ্ধবিরতির মূল শর্তই ছিল বন্দি প্রত্যর্পণ। গত ১৯ জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর হয়েছে। তবে মাঝে বন্দি প্রত্যর্পণ নিয়ে হামাস এবং ইজ়রায়েলের মধ্যে বিরোধ দেখা যায়। ইহুদি সরকারের অভিযোগ, সেই শর্ত মানছে না প্যালেস্টাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী। পাল্টা ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধেও চুক্তিভঙ্গের অভিযোগে সুর চড়ায় হামাসও। তবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গলা চড়াতেই বন্দি মুক্তি নিয়ে সুর নরম করে তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement