—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
জাতীয় সড়কে চলন্ত বাস থামিয়ে যাত্রীদের নামতে বাধ্য করা, তার পর পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখে বেছে বেছে গুলি করে পাক পঞ্জাবের বাসিন্দাদের খুন! কাচ্চি বোলানের মাশকাফ সুড়ঙ্গে ট্রেন অপহরণের রেশ কাটার আগেই বালোচিস্তানের বিদ্রোহীরা পাকিস্তান সরকারকে এ ভাবে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিল।
বুধবার গভীর রাতে বালোচিস্তানের বন্দর শহর গ্বদর থেকে করাচিগামী একটি বাসকে কালমত এলাকায় থামিয়ে সন্দেহভাজন বালোচিস্তান লিবাবরেশন আর্মি (বিএলএ)-র বিদ্রোহীরা পাঁচ যাত্রীকে খুন করেন বলে অভিযোগ। এর আগেও একাধিক বার বাস আটকে পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখে বেছে বেছে পঞ্জাবি যাত্রীদের খুন করার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
এর আগে চলতি মাসে বালোচিস্তানে তিনটি বড় ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেছে। কাচ্চি বোলানে ট্রেন ছিনতাই, কোয়েটায় আধাসেনা ফ্রন্টিয়ার কোরের গাড়িতে আইইডি বিস্ফোরণ, নোশকিকে সেনা কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা রয়েছে এই তালিকায়। প্রতিটি ক্ষেত্রেই হামলার দায় স্বীকার করেছে বিএলএ। স্বাধীনতাপন্থী ওই সংগঠনের দাবি, সেনা ও সরকারের মদতে পঞ্জাবি জনগোষ্ঠীর আধিপত্য বিস্তারের ফলে বালোচরা ক্রমশ নিজভূমে পরবসী হয়ে পড়ছেন। চলতি মাসের গোড়াতেই অন্য দুই সশস্ত্র বালোচ গোষ্ঠী, বালোচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট (বিএলএফ) ও বালোচ রিপাবলিকান গার্ডস (বিআরজি) এবং সিন্ধুপ্রদেশে সক্রিয় বিদ্রোহী সংগঠন ‘সিন্ধুদেশ রেভলিউশনারি আর্মি’র (এসআরএ) সঙ্গে হাত মিলিয়ে নতুন যৌথমঞ্চ গড়েছে বিএলএ।