Greenland PM on Usha Vance's visit

‘উস্কানিমূলক’, উষাদের সফর প্রসঙ্গে গ্রিনল্যান্ড

আগামী সপ্তাহে ছেলেকে নিয়ে গ্রিনল্যান্ড যাচ্ছেন আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভান্সের স্ত্রী উষা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৫ ০৮:৩১
Share:
গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মুটে এগেডে।

গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মুটে এগেডে। ছবি রয়টার্স।

আমেরিকার সেকেন্ড লেডি উষা ভান্স-সহ ট্রাম্প প্রশাসনের কয়েক জন শীর্ষ কর্তার আসন্ন গ্রিনল্যান্ড সফর নিয়ে রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করলেন গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মুটে এগেডে। তিনি এই সফরকে আমেরিকার তরফ থেকে ‘অত্যন্ত আক্রমণাত্মক, ক্ষমতার অপ্রোয়জনীয় প্রদর্শন এবং উস্কানিমূলক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।

Advertisement

আগামী সপ্তাহে ছেলেকে নিয়ে গ্রিনল্যান্ড যাচ্ছেন আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভান্সের স্ত্রী উষা। তাঁর এই সফরকে ‘সংস্কৃতিমূলক’ আখ্যা দিয়ে হোয়াইট হাউসের তরফে বলা হয়েছে, “গ্রিনল্যান্ডের জাতীয় অনুষ্ঠান, কুকুর-স্লেজ দৌড় দেখতে যাবেন উষা। তা ছাড়া, গ্রিনল্যান্ডের বেশ কিছু ঐতিহাসিক স্থানেও ছেলেকে নিয়ে বেড়াবেন তিনি। গ্রিনল্যান্ডের সাংস্কৃতিক ঐক্য উদ্‌যাপন করাই তাঁর লক্ষ্য।” অতীতে কবে, বা আদৌ, আমেরিকান সেকেন্ড বা ফার্স্ট লেডি গ্রিনল্যান্ডে কুকুর-স্লেজ দৌড় দেখতে গিয়েছিলেন কি না, তা অবশ্য দু’দেশের কোনও রাজনৈতিক বা কূটনীতিক কর্তাদের মনে পড়ছে না।

উষা ছাড়া এ সপ্তাহে গ্রিনল্যান্ড যাচ্ছেন আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালজ়-ও। তিনি গ্রিনল্যান্ডে আমেরিকার সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শন করবেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। প্রধানমন্ত্রী এগেডে-র প্রশ্ন, “আমেরিকার জাতীয় উপদেষ্টা এ দেশে কী করবেন? ওঁর উদ্দেশ্য শুধু শক্তি প্রদর্শন করা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যা উদ্দেশ্য, তাতে আরও ইন্ধন দেবে এখানে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার উপস্থিতি।”

Advertisement

স্বায়ত্তস্বাধীন এলাকা গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের অধীনে। তবে প্রেসিডেন্ট হওয়া ইস্তক গ্রিনল্যান্ডকে ‘আমেরিকার অংশ’ বানাতে চান বলে নানাবিধ মন্তব্য করছেন ট্রাম্প। গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কথায়, “এই ধরনের সফর আমাদের উপরে আরও চাপ বাড়াবে।’’

প্রসঙ্গত, সদ্য নির্বাচনে হেরে গিয়েছে এগেডের দল। যত ক্ষণ পর্যন্ত নতুন দল ক্ষমতায় না আসছে, নতুন প্রধানমন্ত্রী শপথ না নিচ্ছেন, কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন এগেডে। তবে তাঁর সুরেই সুর মিলিয়ে সদ্য নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী জেন্স-ফ্রেডেরিক নিলসেনও বলেছেন, “আমেরিকার এই সফরে আমাদের প্রতি তাদের সম্মানের অভাব স্পষ্ট।” আর ডেনমার্কের তরফে জানানো হয়েছে, “বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে।” সংবাদ সংস্থা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement