রোজ হাসি মুখে স্কুল পড়ুয়াদের দিকে হাত নাড়তেন টিনে ডেভিডসন। ছবি : টুইটার থেকে নেওয়া।
চলে যাওয়ার আগে ঠাকুমাকে বিদায় জানাতে এল কয়েকশো পড়ুয়া। কারণ গত প্রায় ১২ বছর ধরে ওই অচেনা ঠাকুমা রোজ সকালে তাদের হাত নেড়ে সুপ্রভাত জানিয়েছেন। এক সময় সবার বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন।
২০০৭ সালে স্বামীর সঙ্গে ব্রিটিশ কলম্বিয়ার কমক্সে বসবাস শুরু করেন টিনে ডেভিডসন (৮৮)। তাঁর বাড়ির পাশ দিয়েই গিয়েছে স্কুলের রাস্তা। শুরুর দিন থেকে হাসিমুখে যাতায়াতের পথে পড়ুয়াদের দিকে হাত নেড়ে টাটা করতেন। একই ভাবে হাত নেড়ে উত্তর দিতেন পড়ুয়ারাও।
এভাবেই শুরু। ধীরে ধীরে দু’ তরফে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এমনকি ওই পড়ুয়ারা মাঝে মাঝে বৃদ্ধ দম্পতির বাড়িতেও আসেন।
কিন্তু এখন ডেভিডসন দম্পতির বয়স বেড়েছে। তাঁরা একটি সহায়ক আবাসনে যাচ্ছেন। ফলে আর এই পড়ুয়াদের যাতায়াতের পথে দেখা হবে না। হাত নেড়ে সুপ্রভাত বা বিদায় জানাতে পারেবন না কোনও পক্ষই।
আরও পড়ুন : হাতের জাদুতেই নিজের গ্রামকে আর্ট গ্যালারি বানিয়ে ফেললেন ৯০ বছরের এই বৃদ্ধা
আরও পড়ুন : ৭২ হাজার টাকার ব্যাগে মাছ এনে সকলকে চমকে দিলেন এই ঠাকুমা!
এই মিষ্টি ঠাকুমার সকালের এই হাত নেড়ে তাদের রোড টাটা করা ভুলতে পারেননি পড়ুয়ারাও। তাই তাঁরা ঠাকুমার বিদায়ের আগে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। সঙ্গে এনেছিলেন ফুল ও হাতে তৈরি গ্রিটিংস কার্ড, তাতে লেখা, আমরা আপনাকে ভালবাসি। কয়েকশো বর্তমান ও প্রাক্তন পড়ুয়া এসেছিলেন তাঁদের প্রিয় ঠাকুমাকে বিদায় জানাতে। সবাই হাসি মুখে তাঁকে বিদায় জানাতে এলেও তাঁদের চোখে ছিল জল।
টিনে ডেভিডসন জানিয়েছেন, তিনি বিশ্বাসই করতে পারছেন না যে এত পড়ুয়া তাঁকে বিদায় জানাতে আসবে। তিনি অভিভূত।