—ফাইল চিত্র
শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসারের হাঁটুর চাপে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড। আজ তাঁর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। এই এক বছরে পালে অনেকটাই হাওয়া পেয়েছে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার (বিএলএম)’ আন্দোলন। ফ্লয়েড-কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় জেলে পোরা হয়েছে সেই পুলিশ অফিসার ডেরেক শভিনকেও। কিন্তু আমেরিকার বিভিন্ন শহরের রাস্তায় কৃষ্ণাঙ্গ নিগ্রহের ঘটনা বিশেষ কমেনি। এই ধরনের বর্ণবিদ্বেষ রুখতে আরও কড়া আইনের দাবি তুলে আজ পথে নামেন বিএলএম আন্দোলনকারীরা। পরনে ফ্লয়েডের ছবি দেওয়া টি-শার্ট, হাতে পোস্টার, আর মুখে একটাই কথা— ‘‘কিছুই তো পাল্টালো না।’’
বিক্ষোভের এই আবহেই আজ হোয়াইট হাউসে ফ্লয়েডের মা, মেয়ে ও ভাই-বোনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জেন সাকি জানান, ঘটনার পরে এই পরিবারের, বিশেষ করে ফ্লয়েডের ছোট্ট মেয়ে জিয়ানার আচরণে প্রেসিডেন্ট বাইডেন মুগ্ধ হয়েছিলেন। তাই তাঁদের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করতে চান তিনি।
এপ্রিলে শভিনকে দোষী সাব্যস্ত করা ও তার সাজা ঘোষণা হওয়ার পরে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বার্তা দিয়েছিলেন, পুলিশ যাতে গ্রেফতারের সময়ে এ ধরনের প্রাণঘাতী বলপ্রয়োগ না-করতে পারে, তার জন্য অবিলম্বে আইন আনা হোক। বলেছিলেন, ‘‘বর্ণ বিদ্বেষের যে বাঁধা ছক এত দিন ধরে চলে এসেছে, আমেরিকাকে তার মোকাবিলা করতে হবে।’’ তখন প্রেসিডেন্ট এ-ও বলেছিলেন যে, ‘‘আমি আশা করি, জর্জ ফ্লয়েডের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর মধ্যে এই আইন পাশ হয়ে যাবে।’’ কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। ‘জর্জ ফ্লয়েড জাস্টিস ইন পলিসিং অ্যাক্ট’ নামের এই বিল হাউস অব রিপ্রেজ়ন্টেটিভসে পাশ হয়ে গেলেও নানা আইনি জটিলতা নিয়ে টালবাহানা চলছে আমেরিকান কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেটে। কবে তা আইনে পরিণত হবে, এখনও অস্পষ্ট। ফ্লয়েড-পরিবার সেই প্রশ্নও তুলতে পারে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ৈবঠকে।