হেডি লামার। চেনেন তাঁকে? আজ তাঁর ১০১তম জন্মদিন। এই প্রজন্মের অনেকের কাছেই নামটা নতুন। এই হেডি লামারকে নিয়েই আজ গুগলের মিউজিক্যাল-অ্যানিমেটেড ডুডল। কে তিনি? আসুন জেনে নিই।
নাজি অস্ত্র ব্যবসায়ী স্বামীর ভালবাসাহীন জীবন থেকে মুক্তি খুঁজতে পালিয়ে গিয়ে হলিউডে চলে যান অস্ট্রিয়ান-আমেরিকান হেডি লামার। তার আগে মাত্র ১৮ বছর বয়সে অভিনয় করেছিলেন চেক ছবি এক্সট্যাসিতে। সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে ঘোড়ার পিছনে ছোটার দৃশ্য তাঁকে রাতারাতি বিতর্কের কেন্দ্রে নিয়ে আসে। এর পর ১৯ বছর বয়সে বিয়ের পর কার্যত গৃহবন্দি হয়ে পড়েছিলেন লামার। বন্দিজীবন থেকে পালিয়ে হলিউডে পৌঁছে যান। টরটিলা ফ্ল্যাট, লেডি অফ দ্য ট্রপিকস, বুম টাউন, স্যামসন অ্যান্ড ডেলিয়াহ ছবিতে অভিনয় করে হয়ে ওঠেন স্টার।
নিজেকে গ্ল্যামার, সেনসেশনের জীবনেই আটকে রাখেননি লামার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কীভাবে আরও দ্রুত তথ্য আদানপ্রদান করা যায় কীভাবে মরিয়া হয়ে ওঠেন নিজে কখনও গৃহবন্দি জীবন কাটিয়েছিলেন বলেই এত তাগিদ ছিল তাঁর। নিজের ঘরে বসেই বানিয়ে ফেলেছিলেন রেডিও টরপেডো। সঙ্গী জর্জ অ্যানথিলের সঙ্গে প্রথম পিয়ানোর কি-বোর্ডে সুর তুলতে ব্যবহার করেন এই রেডিও সিগন্যাল। এই টরপেডোই ছিল আজকের ওয়্যারলেস কমিউনিকেশনের প্রথম ধাপ।
১৯৪২-এ ন্যাশনাল ইনভেন্টর’স কাউন্সিল এর পেটেন্ট নেয়। মার্কিন নৌসেনার হাতে বিনামূল্যে তুলে দেওয়া হয় এই প্রযুক্তি। তবে ২০১৪ পর্যন্ত কাজের স্বীকৃতি পাননি লামার। তাঁর শততম জন্মদিনে ন্যাশনাল ইনভেন্টর হল অফ ফেমে আসেন তিনি।
হেডি লামারের এই বর্ণময় জীবন আজ মিউজিকাল অ্যানিমেটেড ডু়ডলে ধরেছে গুগল।