‘গবলিন মোড’ শব্দটিকে প্রথম দেখা গিয়েছিল ২০০৯ সালে টুইটারে। প্রতীকী ছবি।
রিলসের যুগে ‘রিয়েল লাইফ’-এর দিকেই কি তবে ভোট বেশি! জনতার ভোটে ২০২২ সালের অক্সফোর্ড সেরা শব্দ হল ‘গবলিন মোড’। এই শব্দযুগলের অর্থ অনেকটা এ রকম— ‘‘সমাজের নিয়মকে, বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়াকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিজের ইচ্ছেকে প্রশ্রয় দেওয়া। আলসেমি, অপরিচ্ছন্নতা, যা কিছু সামাজিকতা-বিরোধী, সব হওয়া। তার জন্য মনের ভিতরে কোনও খারাপ লাগাও না রাখা।’’
প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে উঠেছিল তিনটি শব্দ (শব্দবন্ধ/হ্যাশট্যাগ)। শব্দভান্ডার থেকে এই তিনটি শব্দকে বেছে নিয়েছিলেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেসের লেক্সিকোগ্রাফাররা (যাঁরা অভিধান তৈরি করেন)। তার পরে ওই তিনটি শব্দের মধ্যে জনতার ভোটে সেরা নির্বাচিত হয় ‘গবলিন মোড’। ভোটাভুটিতে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে ‘মেটাভার্স’। তৃতীয় স্থানে ‘#আইস্ট্যান্ডউইথ’। তবে ৯৩ শতাংশ ভোটই ঝুলিতে পুরেছে ‘গবলিন মোড’। ৩,১৮,৯৫৬ জন শব্দটিকে সেরার মুকুট পরিয়ে দিয়েছেন।
‘অক্সফোর্ড ল্যাঙ্গুয়েজ’-এর প্রেসিডেন্ট ক্যাসপার গ্রথওল জানিয়েছেন, মানুষ এত উচ্ছ্বসিত ভাবে শব্দবাছাইয়ে অংশ নেবেন, তা তাঁদের কল্পনাতেও ছিল না। তবে তার থেকেও বেশি বিস্ময়, বেছে নেওয়া শব্দটির জন্য। ক্যাসপারের কথায়, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই সকলের ঝাঁ চকচকে ছবি। আমরা যে বছরটা কাটালাম, তাতে আমাদের অনেকেরই মাঝেমাঝে মনে হয়েছে, একটা ভিড়ের নীচে চাপা পড়ে যাচ্ছি। গবলিন মোড শব্দটা এমন মানুষদের জন্য যথার্থ। এটা ভেবে বেশ আশ্বস্ত লাগছে যে, আমরা ইনস্টাগ্রাম বা টিকটক ফিডে নিজেদের সাজানো গোছানো ছবি তুলে ধরলেও সব সময় ওই নিয়ে পড়ে থাকতে চাইছি না। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে কেন ‘বিরিয়েল’-এর মতো প্ল্যাটফর্ম ইন্টারনেটে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। সেখানে ব্যবহারকারীরা তাঁদের এডিট না করা ছবি পোস্ট করছেন। মাঝেমধ্যে ‘গবলিন মোড’-এও নিজেদের ছবি দিচ্ছেন।’’ শব্দটিকে প্রথম দেখা গিয়েছিল ২০০৯ সালে টুইটারে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এই ‘অসামাজিক’ শব্দটি।