স্কুলে কম্পিউটার নেই, ব্ল্যাকবোর্ডে ‘মাইক্রোসফ্ট অফিস’ শেখাচ্ছেন শিক্ষক!

জানা গিয়েছে, ২০১১ সাল থেকেই এই স্কুলে কম্পিউটার নেই। কিন্তু তাতে কী! স্কুলে কম্পিউটার শিক্ষার পাঠ বন্ধ হয়ে যায়নি। বরং ব্ল্যাকবোর্ডের সাহায্যে সমান উত্সাহের সঙ্গেই তা চলছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৮ ১০:১০
Share:

রিচার্ড অ্যাপিয়া আকোতোর পোস্ট করা সেই ভাইরাল দৃশ্য। ছবি: রিচার্ড অ্যাপিয়া আকোতোর ফেসবুক পোস্টের সৌজন্যে।

একটা ছবি। তাতে দেখা যাচ্ছে, ব্ল্যাকবোর্ডে কিছু একটা লিখে ছাত্রছাত্রীদের পড়াচ্ছেন এক শিক্ষক। একটু ভাল করে দেখে বোঝা গেল, ওই শিক্ষক আসলে ব্ল্যাকবোর্ডে এঁকে এঁকে ছাত্রছাত্রীদের মাইক্রোসফ্ট অফিস শেখাচ্ছেন।

Advertisement

অবাক হচ্ছেন! ভাবছেন, মাইক্রোসফ্ট অফিস শেখানোর জন্য ব্ল্যাকবোর্ডের দরকার হবে কেন! স্কুলে কম্পিউটার কি ‘কম পড়িয়াছে’! কম নয়, ওই স্কুলে আসলে কোনও কম্পিউটারই নেই।

ছবিটি ওউরা কোয়াডো হটিস নামে ফেসবুকে পোস্ট করেন পশ্চিম আফ্রিকার দেশ ঘানার বিটানেজ এম-এ জুনিয়র হাই স্কুলের শিক্ষক রিচার্ড অ্যাপিয়া আকোতো। মজার ছলেই জানান স্কুলের এই পরিস্থিতির কথা। জানা গিয়েছে, ২০১১ সাল থেকেই এই স্কুলে কম্পিউটার নেই। কিন্তু তাতে কী! স্কুলে কম্পিউটার শিক্ষার পাঠ বন্ধ হয়ে যায়নি। বরং ব্ল্যাকবোর্ডের সাহায্যে সমান উত্সাহের সঙ্গেই তা চলছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ব্রিটিশ মডেলের মোবাইল ক্যামেরায় ধরা পড়ল ‘ভূত’!

২০১৮-এ দাঁড়িয়ে, স্মার্টফোনের যুগে এমন ছবি সত্যিই বিরল। আর একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের দৌলতে এই ছবি ভাইরাল হতে বেশি সময় লাগেনি। পোস্টের নীচে হাজার হাজার শেয়ার, কমেন্টে ভরে ওঠে। এবং শেষমেশ সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোয় কিছুটা হলেও ছবিটা পাল্টেছে ওই স্কুলের। স্কুলের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় সংস্থা এনআইআইটি। ঘানার ওই স্কুলকে পাঁচটি কম্পিউটার ও একটি ল্যাপটপ দিয়ে সাহায্য করেছে সংস্থা।

ঘানার রাজধানী শহর আক্রার এনআইআইটি-র সেন্টার ম্যানেজার আশিস কুমার উপস্থিত ছিলেন সেখানে। জানান, ভাইরাল হওয়া ওই ছবিটি তাঁদের নজরে আসে। তখনই ঠিক করা হয় এই স্কুলকে কম্পিউটার দেওয়া হবে। এমন পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াতে পারাটাও সৌভাগ্যের। তিনি জানান, ভবিষ্যতে স্কুলের প্রয়োজনে সংস্থার পক্ষ থেকে আরও সাহায্য করা হবে। স্কুলের পড়ুয়ারাও কম্পিউটার পেয়ে আপ্লুত। তাঁর পোস্টের জেরে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য কম্পিউটার আসায় খুশি আকোতোও। এ বার হাতে-কলমে ছাত্র-ছাত্রীরা কম্পিউটার শেখার সুযোগ পাবে— এটা ভেবে বেজায় খুশি তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement