—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মালটা এবং লুক্সেমবার্গের পর এ বার জার্মানিও গাঁজা চাষকে বৈধ ঘোষণা করল। বস্তুত, শুক্রবার পার্লামেন্টের এই সিদ্ধান্তের পর ইউরোপের তৃতীয় দেশ হিসাবে জার্মানি গাঁজা চাষকে বৈধ বলে ঘোষণা করল।
এখন থেকে জার্মানির প্রাপ্তবয়স্কেরা গাঁজা রাখতে পারবেন। তবে নির্দিষ্ট পরিমাণে। সে দেশের নতুন আইন অনুযায়ী, এক জন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ২৫ গ্রাম পর্যন্ত গাঁজা বহন করতে পারেন। বাড়িতে রাখা যেতে পারে ৫০ গ্রাম পর্যন্ত গাঁজা। এমনকি, জার্মানির গৃহস্থেরা চাইলে বাড়িতেও নির্দিষ্ট পরিমাণ গাঁজা চাষ করতে পারবেন।
মূলত মাদক দ্রব্য হিসাবে পরিচিত হলেও বর্তমানে চিকিৎসাক্ষেত্রেও বাড়ছে গাঁজা গাছ থেকে প্রাপ্ত একাধিক উপাদানের ব্যবহার। এই প্রেক্ষিতে জার্মানির স্বাস্থ্য মন্ত্রী কার্ল লাউটারবাচ বলেন, ‘‘এই সিদ্ধান্তের ফলে মাদক পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, জার্মানির মধ্যে প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষ গঞ্জিকা ব্যবহারে অভ্যস্ত বলে মনে করা হচ্ছে।’’ তিনি পার্লামেন্টে জানান, শিশু এবং যুবকদের সুরক্ষাপ্রদানই আইনের মূল লক্ষ্য।
গত এক দশকে জার্মানির শিশু এবং যুবক-যুবতীদের মধ্যে গঞ্জিকাসেবন লক্ষণীয় ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে জার্মানি সরকার বিশ্বাস করে যে গঞ্জিকা ব্যবহারকারীদের মধ্যে বড় অংশই চিকিৎসার প্রয়োজনে এটা নেন। তাই এই নতুন আইনবলে বাজারের উপরও কড়া নজরদারি করা যাবে।
জার্মানি সরকার ঘোষণা করেছে, স্কুল-কলেজ বা যে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০০ মিটারের মধ্যে কেউ গাঁজা নিয়ে যেতে পারবেন না। চোরাগোপ্তা গাঁজার কারবার করলে কঠোর সাজা হতে পারে। তা ছাড়া ১৮ বছরের নীচে কেউ গাঁজা ব্যবহার করলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ।