অস্ত্রের যুদ্ধে বিরতি পড়েছে। তবে প্যালেস্তাইনি জঙ্গিগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইজরায়েলি সেনার লড়াই এখনও অব্যাহত!
নিজস্ব ওয়েবসাইট ছাড়াও ফেসবুক-টুইটারের মতো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলিতে এখন সম্মুখসমরে নেমেছে দু’পক্ষ। ‘ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স’-এর (আইডিএফ) টুইটার ও ফেসবুক পেজে ঘন ঘন ছবি আর ভিডিওর সঙ্গে পোস্ট করা হচ্ছে মানবতার বার্তাও। দেখানো হচ্ছে হামলা চালানোর পাশাপাশি কী ভাবে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ইজরায়েলি সেনারা ওষুধ এবং ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে গাজার অলিগলিতে। এরই ফাঁকে তাদের দেখা হামাসের নির্দয়-নিষ্ঠুর চেহারাটা মানুষের কাছে তুলে ধরতেও ছাড়ছে না তারা। হামাস জঙ্গিরা যে গাজার নিরপরাধ মানুষকে ঢাল বানিয়ে নিজেদের প্রাণ বাঁচাচ্ছে তা বার বার জাহির করেছে তারা। গত কাল আইডিএফের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা দু’টি ভিডিও ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলে দিয়েছে।
গাজার জনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে রকেট ছোড়ার একটি ভিডিও গত কাল সম্প্রচারিত হয় নয়াদিল্লির একটি টেলিভিশন চ্যানেলে। মানুষকে ঢাল বানিয়ে যুদ্ধ করার ইজরায়েলি অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করতেওই ফুটেজ অনতিবিলম্বে আপলোড করা হয় আইডিএফ-এর ফেসবুক পেজেও। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই ‘নির্মম সত্যি’ প্রচার করায় ভারতকে সাধুবাদ জানিয়ে আইডিএফ-এর পেজে কমেন্টও করেছেন কয়েক জন ইজরায়েলি বাসিন্দা। গত কালই আইডিএফ-এর পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখানো হয়েছে, কী ভাবে রাষ্ট্রপুঞ্জের অফিস চত্বরের পাশেই ঘাঁটি গেড়েছে হামাস। তাক করা কামানের মুখও যে অফিসের দিকেই তা-ও দেখানো হয়েছে ভিডিওতে।
‘ভার্চুয়াল’ যুদ্ধে পিছিয়ে নেই হামাসও। ইজরায়েলি সেনার হামলায় শিশুমৃত্যু ও গোপন সুড়ঙ্গের মধ্যে জঙ্গিদের জীবনযাপনের ছবি পোস্ট করছে তারা। দেখানো হয়েছে, এক এক জন ইজরায়েলি সেনার মৃত্যুর পরে জঙ্গিদের উল্লাসের ছবি!
৭২ ঘণ্টার আপাত যুদ্ধবিরতির পরে আজ রাস্তায় নেমেছেন গাজার মানুষ। খুলেছে দোকানপাট, ব্যাঙ্ক। তিন দিনের এই সংঘর্ষ-বিরতিতে আবার নতুন করে নিঃশ্বাস নিচ্ছে মৃত শহর। ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিকে দীর্ঘতর করতে আজ মিশরের কায়রোয় রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং অন্য কয়েকটি দেশের প্রতিনিধির মধ্যস্থতায় বৈঠকে বসার কথা দু’পক্ষের।