প্রতীকী ছবি।
পাসওয়ার্ড মনে রাখার দরকার নেই। মুখের আদল স্ক্যান করেই অনায়াসে সারা যাবে ব্যাঙ্কের লেনদেন-সহ রোজকারের একাধিক দরকারি কাজ, ঢোকা যাবে কোনও সরকারি পোর্টালেও! আগামী বছর থেকে সিঙ্গাপুরে সরকারি ভাবে চালু হতে চলেছে এই ‘ফেশিয়াল ভেরিফিকেশন সিস্টেম’।
জাতীয় আইডি স্কিমের সঙ্গে এই পদ্ধতি যুক্ত করার পদক্ষেপে সিঙ্গাপুরই বিশ্বের প্রথম। সময়ের সঙ্গে প্রযুক্তির ব্যবহারের দিক থেকে আরও উন্নত হতেই এই পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছে সরকারের তরফে। তবে সরকারি ভাবে এই পদ্ধতির ব্যবহারে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ফাঁক তৈরি হতে পারে, এমন দাবিও তুলেছেন অনেকে।
কী ভাবে ব্যবহার হবে এই পদ্ধতি? সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ব্যক্তির মুখমণ্ডলের একাধিক ছবি তোলা হবে। এর পর তাঁর সম্পর্কে সরকারের কাছে থাকা অন্যান্য তথ্য— যেমন, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট কিংবা এমপ্লয়মেন্ট কার্ডের সঙ্গে তা যুক্ত করা হবে।
বিমানবন্দরে যাত্রীদের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে কিংবা অ্যাপ্ল বা গুগলের মতো সংস্থার বিভিন্ন পরিষেবায় এই ফেশিয়াল ভেরিফিকেশন প্রযুক্তির ব্যবহার ইতিমধ্যেই বেশ প্রচলিত। তবে ফোন খোলা বা টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতির ব্যবহার আর জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে এর যোগ তৈরি করার মধ্যে বিস্তর ফারাক বলেই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। ব্যক্তিগত পরিসরের অধিকার এতে আরও সঙ্কুচিত হবে বলে তাঁদের মত।