পরমাণু কেন্দ্র পরিদর্শণে কিম জং উন। ছবি: সংগৃহীত।
উত্তর কোরিয়া বলতেই একটা চরম গোপনীয়তার দৃশ্য ভেসে ওঠে। একটু ভুলচুক হলেই প্রশাসনিক কর্তা থেকে আমজনতার মৃত্যুদণ্ড সেখানে অবধারিত। এমন একটা গোপনীয়তায় মোড়া এবং কঠোর নিয়মের বেড়াজালে আবদ্ধ দেশের প্রতিরক্ষার বিষয়টি আরও গোপনীয়তায় মোড়া থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। পশ্চিমি দুনিয়া বিশেষ করে আমেরিকার সঙ্গে কিমের আকচাআকচি দীর্ঘ দিনের। তাই তিনি যে পশ্চিমি দেশগুলির, বিশেষ করে আমেরিকার ‘দাদাগিরি’কে খুব একটা গ্রাহ্য করেন না, বরদাস্ত করেন না, এমন বার্তা দিতেই মাঝেমধ্যে ক্ষেপণাস্ত্রের নানা পরীক্ষা চালান।
উত্তর কোরিয়ার উপর নানা নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। কিন্তু তিনি যে সহজে দমার পাত্র নন, তা বার বারই নিজের কাজ দিয়ে পশ্চিমি দুনিয়াকে বার্তা দেন কিম। তাঁর দেশ পরমাণু অস্ত্র নিয়ে নানা পরীক্ষানিরীক্ষা করছে, পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে, এমন দাবি মাঝেমধ্যেই আন্তর্জাতিক মহলে ওঠে। এ বার সেই কিমেরই দেশের অত্যন্ত গোপনীয়তায় মোড়া পরমাণু অস্ত্র তৈরির কেন্দ্রের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে (যদিও সেই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। বেশ কয়েকটি সূত্রের দাবি, সম্প্রতি সেই পরমাণু কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়েছিলেন কিম। বিজ্ঞানীদের সঙ্গে দেখা করেন। পরমাণু অস্ত্রভান্ডারের শক্তিবৃদ্ধি নিয়েও আলোচনা হয়।
আর উত্তর কোরিয়ার এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়ে গিয়েছে জল্পনা। তা হলে কি পশ্চিমি দুনিয়ার বিরুদ্ধে নামতে নিজের শক্তিবৃদ্ধির পথে হাঁটছে উত্তর কোরিয়া? আমেরিকার সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন কিম? ঘনিষ্ঠ মহলে নাকি তিনি জানিয়েছেন, আমেরিকা এবং তার বন্ধু দেশগুলি উত্তর কোরিয়া এবং তার বন্ধু দেশগুলির পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। তাই আত্মরক্ষার্থে নিজেদের প্রস্তুত রাখা প্রয়োজন। পরমাণু অস্ত্রভান্ডারের শক্তিবৃদ্ধি করে সেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে। প্রয়োজন পড়লে সেগুলি ব্যবহার করতেও পিছপা হবেন না তিনি।
বেশ কয়েকটি সূত্রের দাবি, উত্তর কোরিয়ার কাছে ৫০টি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, ৭০-৯০টি পরমাণু অস্ত্র বানানোর জন্য রসদও রয়েছে তাদের হাতে। পরমাণু অস্ত্রের পাশাপাশি ডুবোজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিয়েও কাজ করছে তারা।