লর্ড আইভার মাউন্টব্যাটেনের সঙ্গে জেমস কয়েল। —ছবি সৌজন্যে ইনস্টাগ্রাম।
প্রথম মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ মহিলাকে বিয়ে করে নয়া ইতিহাস গড়েছিলেন প্রিন্স হ্যারি। তার পর এক মাসও কাটেনি। ফের এক ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে ব্রিটিশ রাজ পরিবার। এ বার রাজ পরিবারেও বসছে সমলিঙ্গ-বিয়ের আসর।
রাজ পরিবারের জামাই লর্ড আইভার মাউন্টব্যাটেন বিয়ে করবেন জেমস কয়েল-কে। রাজ পরিবারের তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ-সহ রাজ পরিবারের সম্মতি মিলেছে এই বিয়েতে।
মাউন্টব্যাটেন যে সমকামী, সেই বিষয়টি প্রথম সামনে আসে ২০১৬ সালে। তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী পেনি মাউন্টব্যাটেন রাজ পরিবারের সদস্য। তাঁদের তিনটি সন্তানও রয়েছে। কিন্তু তারপরও পেনি মাউন্টব্যাটেন স্বামীর সমকামিতাকে খোলাখুলিই সমর্থন করেন। বিয়ে নিয়েও তাঁর কোনও আপত্তি নেই।
আরও পড়ুন: মোবাইলে ব্যস্ত ব্যক্তি, সন্তর্পনে এগিয়ে আসছে বাঘ, তারপর...
পাশ্চাত্যের বহু দেশেই সমলিঙ্গ বিয়ে স্বীকৃত। সমকামী সম্পর্ক প্রথম স্বীকৃতি দেয় আর্জেন্টিনা। তারপর একে একে অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, মেক্সিকো, নিউজিল্যান্ডের মতো বহু দেশে এখন সমকামী বিবাহ আইনি ভাবেই বৈধ।তালিকায় সব শেষে যোগ হয়েছে ইংল্যান্ড এবং আমেরিকা। ব্রিটিশদের কাছে সমকামিতা অর্থাৎ দু’জন পুরুষ বা নারীর মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক এবং তাঁদের বিয়ে, কোনওটাই ব্যাতিক্রমী ঘটনা নয়। বরং চার বছর আগে থেকেই আইনি স্বীকৃতি পেয়েছে সমকামিতা। যে সব জায়গায় সমলিঙ্গ বৈধ নয়, সেখানেও রয়েছে লিভ-ইনের আইনি স্বীকৃতি।
মাউন্টব্যাটেন-কয়েলের বিয়ের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ব্রিটিশ রাজ পরিবারের প্রথম সমলিঙ্গ বিয়ে হচ্ছে। এক সাক্ষাৎকারে মাউন্টব্যাটেন জানিয়েছেন, নিজস্ব পরিসরে আনুষ্ঠানিক বিয়ে হবে। সেখানে রানি বা তাঁর সরাসরি উত্তরাধিকারীরা কেউ থাকবেন না। আবার মাউন্টব্যাটেও রাজ পরিবারের সরাসরি উত্তরাধিকারী নন। তাই তাঁর বিয়েতে রাজ পরিবারের থাকা বাধ্যতামূলক নয়।
যদিও মাউন্টব্যাটেনের দাবি, রাজ পরিবারের পুরো সমর্থন রয়েছে তাঁদের বিয়েতে। রানি এলিজাবেথের সরাসরি উত্তরাধিকারী না হওয়ায় মাউন্টব্যাটেন রাজ সিংহাসন থেকেও তিনি অনেক দূরে। তাই এই বিয়ের ফলে ব্রিটিশ সংবিধানেও কোনও পরিবর্তন আনতে হবে না। তবে রাজ পরিবারে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিয়ের প্রস্তুতি।
আরও পড়ুন: পরোয়া করি না! জ্যাকেট বিতর্কে মেলানিয়া