Fire in Rohingya Camp

রোহিঙ্গা শিবিরে ভয়াবহ আগুন বাংলাদেশে, ঘনবসতি এলাকায় পুড়ে ছাই দু’হাজারের বেশি ঘর

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ফলে ঘর হারিয়ে আপাতত খোলা আকাশের নীচেই অপেক্ষা আশ্রয় নিয়েছেন ১২ থেকে ১৫ হাজার শরণার্থী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কক্সবাজার শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৩ ২০:৪৩
Share:

উত্তুরে হাওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায়, তা নিয়ন্ত্রণে আনতে অসুবিধা হচ্ছে দমকলবাহিনীর। প্রতীকী ছবি।

বাংলাদেশের আগুন লাগল রোহিঙ্গা শিবিরে। সেই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল অন্তত হাজার দুয়েক শরণার্থীর ঘর। রবিবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়ায় বালুখালি আশ্রয় শিবিরে ওই আগুন লেগেছিল। বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম প্রথম আলো সূত্রে খবর, ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ফলে ঘর হারিয়ে আপাতত খোলা আকাশের নীচে আশ্রয় নিয়েছেন ১২ থেকে ১৫ হাজার শরণার্থী। সন্ধে পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ওই আগুনে শরণার্থীদের থাকার জায়গার পাশাপাশি পুড়ে গিয়েছে অন্তত ২০টি বেসরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, রোহিঙ্গা শিশুদের পড়াশোনা করার লার্নিং সেন্টার এবং বেশ কয়েকটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রও। তবে আগুনে হতাহতের সংখ্যা সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

Advertisement

রোহিঙা শিবিরের শরণার্থীদের ঘরগুলি একটি আরএকটির গায়ে লাগা। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই তাই তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে। কয়েক ঘণ্টায় হাজার দুয়েক ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার কারণও এই ঘনবসতিই বলে অনুমান। তবে কী করে এই আগুন লাগল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো বাংলাদেশের শরণার্থী এবং প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহম্মদ মিজানুর রহমানের সঙ্গে কথা বলে জানিয়েছে, রোহিঙ্গা শিবিরের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৪-১৫ বছর বয়সি এক রোহিঙ্গা কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মিজানুর বলেছেন, ‘‘প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকে ওই কিশোরকে ঘরে আগুন দিতে দেখেছেন। হাতে নাতে ধরা হয়েছে তাকে। আপাতত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনাটি জানার চেষ্টা করছে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।’’ তবে গোটা ঘটনাটিকেই রহস্যময় বলে মন্তব্য করেছেন মিজানুর।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। উত্তুরে হাওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায়, তা নিয়ন্ত্রণে আনতে অসুবিধা হচ্ছে দমকলবাহিনীর। এছাড়াও আগুন লেগে রোহিঙ্গা শিবিরে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আরও আগুন ছড়াচ্ছে। আপাতত দমকলের আট-দশটি ইউনিটের সঙ্গে আগুন নেভানোর কাজ করছেন কয়েকশো স্বেচ্ছাসেবীও। স্থানীয় প্রশাসন গৃহহীন শরণার্থীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছে।

(এই খবরটি সবেমাত্র দেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত খবরটি কিছু ক্ষণের মধ্যেই আসছে। অপেক্ষা করুন।পাতাটি কিছু ক্ষণ পর পর রিফ্রেশ করুন। আপডেটেড খবরটি আপনি দেখতে পাবেন।অতি দ্রুততার সঙ্গে আপনার কাছে খবর পৌঁছে দেওয়ার সময়েও আমরা খবরের সত্যাসত্য সম্পর্কে সচেতন। সেই জন্যই যে কোনও ‘খবর’ পাওয়ার পর, তার সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তবেই আমরা তা প্রকাশ করি। ফেক নিউজ বা ভুয়ো খবরের রমরমার সময়ে এটা আরও বেশি জরুরি হয়ে উঠেছে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement