—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ষষ্ঠী এবং সপ্তমীর মতো অষ্টমীর দুপুরেও কলকাতার ট্র্যাফিক পরিষেবা মোটামুটি স্বাভাবিক রইল। ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার দুপুরে শহরের কোথাও যানজটের সমস্যা নেই। তবে শুক্র এবং শনিবারের অভিজ্ঞতা থেকেই সন্ধ্যার ভিড় সামলাতে সব রকমের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে পুলিশ। চলতি বছরে অষ্টমী এমনিতেই ছুটির দিন রবিবারে পড়ায় পুজোমণ্ডপগুলিতে ঠাকুর দেখার ভিড় আরও বাড়তে পারে।
পুলিশের তরফে বিশেষ ভাবে নজর রাখা হচ্ছে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পুজোমণ্ডপ, সেই মণ্ডপগুলির নিকটবর্তী মোড় এবং রাস্তায়। আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় বিকল্প ব্যবস্থাও ভেবে রাখছে পুলিশ। দর্শনার্থীদের সুরক্ষার কথাও মাথায় রাখা হচ্ছে। পুলিশের তরফে বিশেষ ভাবে নজর রাখা হচ্ছে দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়াহাট, রাসবিহারী এলাকা এবং উত্তর কলকাতার হাতিবাগানের মতো এলাকাগুলিতে।
তৃতীয়া আর চতুর্থীর ভিড়কে যদি টেক্কা দিয়ে থাকে পঞ্চমী, তা হলে পঞ্চমীর সেই ভিড়কে পাঁচ গোল দিয়েছিল ষষ্ঠী। তবে, রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সপ্তমীর যে চিত্র দেখা গেল শনিবার, তাতে পুরনো বেশ কয়েক বছরের পরিসংখ্যান ভেঙে গিয়েছে বলেই মনে করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ষষ্ঠীকে ছ’গোল দিয়েছে সপ্তমী। করোনা-পর্বের আগে শেষ কবে এই সংখ্যায় পুজো-জনতা পথে নেমেছিলেন, মনে করতে পারছেন না অনেকেই। ভিড়ের মধ্যে এ-ও শোনা গিয়েছে যে, অষ্টমী আর নবমীর ভিড়ের হিসাব করলে তা এই দশকের সব পুজোকে ছাপিয়ে যেতে পারে! তবে শনিবারও দুপুর ৩টে পর্যন্ত পথে গাড়ি চলেছে নির্ঝঞ্ঝাটে। প্রায় কোনও রাস্তাতেই যানজট ছিল না।
এই বিষয়টি রবিবারেও মাথায় রাখছে পুলিশ। দুপুরের পর কলকাতার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যান চলাচলের গতি মন্থর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কলকাতা মেট্রোর তরফে আগেই জানানো হয়েছে যে, সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা মিলবে সারা রাত। এই তিন দিন পূর্ব-পশ্চিম করিডোরেও মেট্রো চলবে রাত ১২টা পর্যন্ত। যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য একগুচ্ছ পদক্ষেপও করেছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণেশ্বর, দমদম, বেলগাছিয়া, শ্যামবাজার, শোভাবাজার-সুতানুটি, মহাত্মা গান্ধী রোড, সেন্ট্রাল, যতীন দাস পার্ক, কালীঘাট, রবীন্দ্র সরোবর, কবি নজরুল, কবি সুভাষ, শিয়ালদহ এবং বেঙ্গল কেমিক্যাল— এই স্টেশনগুলিতে ঠাকুর দেখতে আসা মানুষের ভিড় বেশি হবে ধরে নিয়েই আরও অধিক সংখ্যায় রেল সুরক্ষা কর্মী (আরপিএফ) মোতায়েন করা হচ্ছে। আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় থাকছে পাঁচ সদস্যের কুইক রেসপন্স টিম এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দল। তবে সকালের দিকে মেট্রো না থাকায় মুষ্টিমেয় যে কয়েক জন কাজে বেরিয়েছেন, তাঁদের খানিক অসুবিধায় পড়তে হয়েছে।