অ্যানটিলিয়া, মুম্বই: পৃথিবীর অন্যতম ধনী ব্যক্তি রিলায়েন্স সুপ্রিমো মুকেশ অম্বানীর প্রাসাদোপম বহুতল ‘অ্যান্টিলিয়া’। দামের নিরিখে বাকিংহাম প্যালেসের পরেই এই বাড়ির স্থান। প্রায় ২০০ কোটি ডলারের এই বাড়িটিতে রয়েছে তিনটি হেলিপ্যাড, ১৬০টি গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা এবং ২৪ ঘণ্টা বাড়ি দেখাশোনার জন্য ৬০০ জন কর্মচারী।
এলিফ্যান্ট বিল্ডিং, ব্যাঙ্কক: তাইল্যান্ডের অবাক করা বহুতল এলিফ্যান্ট বিল্ডিং। ৩৩ তলা এই বহুতলটিতে রয়েছে ৩২টি অফিস, দোকান এবং বিলাসবহুল সব অ্যাপার্টমেন্ট। তাইল্যান্ডের জাতীয় পশু হাতির নামে এই বহুতলটির নামকরণ করার হয়েছে এবং এর ডিজাইনেও অনেকটা সেই ছাপ রয়েছে।
উমেদা স্কাই বিল্ডিং, ওসাকা: জাপানের অন্যতম বৃহত্তম শহর ওসাকার এই বহুতলটিতে রয়েছে দু’টি টাওয়ার। সবচেয়ে বিস্ময়কর হল এই বহুতলের ৪০ তলায় রয়েছে একটি ভাসমান উদ্যান। এই বিল্ডিংয়ের বেশিরভাগ তলাতেই রয়েছে অফিস এবং গোটা বেসমেন্ট জুড়ে বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ।
কিংডম সেন্টার, রিয়াধ: ১০০ তলা এই বহুতলটি বানাতে খরচ হয়েছিল প্রায় ১০০ কোটি ডলার। বহুতলের তিনতলায় রয়েছে শপিং মল, ব্যাঙ্ক এবং মসজিদ যেখানে প্রবেশের ছাড়পত্র রয়েছে শুধুমাত্র মহিলাদের। তাছাড়া গোটা বহুতলটি জুড়ে রয়েছে নানা অফিস, হোটেল, অ্যাপার্টমেন্ট এবং ১৮৪ ফুট লম্বা একটি স্কাইব্রিজ।
দ্য শার্দ, লন্ডন: ব্রিটেনের সবচেয়ে উঁচু এবং ইউরোপের পঞ্চম বৃহত্তম বহুতল দ্য শার্দ। ৮০২ ফুট লম্বা ৯৬ তলা পিরামিড আকৃতির এই বহুতলটি ডিজাইন করেছে ‘রেনঝো পিয়ানোয়িস’ নামে একটি ইতালিয় সংস্থা।
অ্যাকোয়া, শিকাগো: শিকাগোর ৮৩ তলা এই বহুতল অ্যাকোয়া টাওয়ারের ডিজাইন করেছেন একজন মহিলা জেনে গ্যাং। এই বহুতলটিতে ন’তলায় রয়েছে বাগান, পুল, হট টাব। ২০০৯ সালে ‘এমপোরিস স্কাইস্ক্র্যাপার অ্যাওয়ার্ড’ জেতে এই বহুতল।
আলদার হেডকোয়ার্টার, আবু ধাবি: ঝিনুকের খোলসের আকৃতির অনুকরণে তৈরি এই বহুতল। এটি মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র গোলাকার ভবন। ২০১০ সালে নির্মিত হয় ১১০ মিটার উঁচু এই বহুতলটি।
তাইপেই ১০১, তাইপেই: ২০০৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত এটি ছিল বিশ্বের সর্বোচ্চ বহুতল। পরে বুর্জ খালিফা সেই স্থান দখল করে। ২০০৮ সালে ‘এমপোরিস স্কাইস্ক্র্যাপার অ্যাওয়ার্ড’ জেতে এই বহুতল। বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির লিফট রয়েছে এই বহুতলটিতে।