ঘাসের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে দুধের শিশুকে কোলে তুলে নিয়ে মরিয়া ছুট লাগাচ্ছেন এক মহিলা। পিছনে তাড়া করছে দুটো চিতা। ছবি: সংগৃহীত।
মেটে পথ। পথের দু’ধারে ঘাসের জঙ্গল। আর সেই ঘাসের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে দুধের শিশুকে কোলে তুলে নিয়ে মরিয়া ছুট লাগাচ্ছেন এক মহিলা। পিছনে তাড়া করছে দুটো চিতা। কোনওরকমে রাস্তায় দাঁড় করানো গাড়িতে উঠে প্রাণে বাঁচেন মা ও শিশু। সম্প্রতি এমনই একটা ভিডিও হইচই ফেলে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ওই ভিডিওটি যিনি পোস্ট করেছেন, তিনি ২৪ বছর বয়সী যুবক রবিন দি গ্রাফ। একটি ডাচ পাবলিক টেলিভিশনে তিনি জানান, সোমবার তাঁর চোখের সামনেই ভয়ঙ্কর ওই ঘটনাটি ঘটেছে নেদারল্যান্ডের হগের বীকসে বার্গেন সাফারি পার্কে। গত শুক্রবার তিনি ভিডিওটি পোস্ট করেন। ইতিমধ্যেই ২৫ লক্ষ ভিউ হয়েছে ভিডিওটি। বন্যপ্রাণী এবং পর্যটক— উভয়ের বিপদের কথা মাথায় রেখে সাফারি পার্কের ভিতরে গাড়ি থেকে নামা নিষিদ্ধ। তা সত্ত্বেও কেন এক শিশুকে নিয়ে ওই মহিলা গাড়ি থেকে নেমেছিলেন তা এখনও জানা যায়নি। এখনও মেলেনি ওই মহিলার পরিচয়ও। তবে ওই যুবকের জানান, সম্ভবত ছবি তোলার জন্যই তাঁরা গাড়ি থেকে নেমেছিলেন। শুধু ওই মহিলা এবং শিশুই নন, সঙ্গে ছিলেন পরিবারের আরও দু-তিন জন ব্যক্তিও।
রবিন কী দেখেছেন ওই দিন? ওই ডাচ পাবলিক টেলিভিশনে রবিন জানান, ওই দিন তিনিও গাড়ি নিয়ে সাফারি পার্কের ভিতর দিয়েই যাচ্ছিলেন। মাটির রাস্তায় দু’পাশে পাছে কোনও চিতার দেখা মেলে, তাই ফোনের ভিডিও চালু রেখেছিলেন। কিছু দূর যাওয়ার পরই তিনি মানুষের কন্ঠস্বর শুনতে পান। আরও একটু এগোলে দেখতে পান, রাস্তার একপাশে দুটো কালো গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। আর সেই গাড়িকে লক্ষ্য করেই এগিয়ে আসছেন এক মহিলা। তাঁর কোলে একটি শিশু। রবিন জানান, ওই মহিলার সামনে আরও দু-তিন জন ব্যক্তিও ছিলেন। তাঁরাও প্রাণপন গাড়ির দিকে ছুটছিলেন। আর এই তাঁদের পিছনে ছুটে আসছিল দুটো চিতা। সামনের ওই দু’তিন জন ব্যক্তি দৌড়ে এসে গাড়িতে উঠে পড়েন। কিন্তু তখনও শিশু কোলে ওই মহিলা উঠতে পারেননি। কারণ দুটো চিতার লক্ষ্যই ছিল কোলের শিশুটি। চিতাগুলো বারবারই লাফিয়ে কোল থেকে শিশুকে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিল। আর শিশুটির মা তাদের তাড়াচ্ছিলেন। এই ভাবে ওই মহিলাও কোনওক্রমে শিশুটিকে নিয়ে গাড়িতে উঠতে সফল হন। যতক্ষণে রবিন তাঁদের কাছে গিয়ে পৌঁছন, ততক্ষণে তাঁরা গাড়ি চালিয়ে বেরিয়েও যান।
দেখুন ভিডিও:
আরও পড়ুন: ‘হিট’ লিস্টে থেকেও বলিউড-ক্রিকেট যে সম্পর্কগুলির ইতি হয়েছিল