আশরফ গনি ছবি সৌজন্যে রয়টার্স।
তালিবান যোদ্ধারা রবিবার কাবুলের দখল নেওয়ার পরেই দেশ ছেড়েছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরফ গনি। তিনি কোন দেশে গিয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। তার মধ্যেই গনির দেশ ছাড়ার ঘটনাকে কটাক্ষ করেছেন সে দেশের জনতা। শুধু জনতা নয়, রাজনৈতিক নেতারাও গনির এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন।
রবিবার তালিবান কাবুলের রাষ্ট্রপতির প্রাসাদে যাওয়ার পরে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শেষ হয়। তার পরেই সন্ধ্যায় আফগান সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আফগানিস্তান ছেড়েছেন। প্রথমে শোনা গিয়েছিল তিনি তাজিকিস্তান গিয়েছেন। কিন্তু সেখানে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। ফলে এখন তিনি আপাতত ওমানে রয়েছেন বলে খবর।
এই পরিস্থিতিতে গনির দেশ ছেড়ে পালানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন আফগানিস্তানের পূর্ব প্রদেশের এক রাজনৈতিক নেতা। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘গনি দেশের মানুষের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তিনি ভিতু। এত দিন ধরে দেশের মানুষকে মিথ্যা কথা বলে এখন তালিবানের হাতে ফেলে তিনি পালালেন। দেশের মানুষের কী হবে তা একবারও ভাবলেন না।’’ ওই রাজনৈতিক নেতা আরও বলেন, ‘‘গনি বলেছিলেন দেশের সেনাবাহিনীকে এত উন্নত করেছেন যে তালিবান কিছু করতে পারবে না। তার কয়েক ঘণ্টা পর থেকে একের পর এক প্রদেশ দখল করতে শুরু করে তালিবান। এর থেকেই পরিষ্কার গনি মিথ্যা কথা বলেছিলেন।’’
গনি চলে যাওয়ার পরে আফগানিস্তানের উত্তর প্রদেশের এক কম্যান্ডার মহম্মদ নুর এই ঘটনাকে ‘পূর্ব পরিকল্পিত ভিতু চিত্রনাট্য’ বলে উল্লেখ করেছেন। একই মত আফগান জনতারও। কাবুলের বিভিন্ন এলাকায় গনি বিরোধী পোস্টার দেখা গিয়েছে। আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য অনেকে আবার তাঁকেই দায়ী করেছেন।