অস্ট্রেলিয়ায় খবর পরিষেবা বন্ধ করল ফেসবুক। ছবি—রয়টার্স।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ফেসবুকে কোনও রকম খবর দেখতে পাচ্ছিলেন না অস্ট্রেলীয়রা। শেয়ার করা যাচ্ছিল না আন্তর্জাতিক বা দেশের কোনও খবরের লিঙ্ক। বেলা গড়াতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানালেন, সে দেশের মিডিয়া সংক্রান্ত নয়া প্রস্তাবিত আইনের জবাবে এই সিদ্ধান্ত। একই সঙ্গে এ দিন ফেসবুকে বন্ধ ছিল স্বাস্থ্য, জ্বালানির মতো জরুরি সরকারি তথ্য সংক্রান্ত পরিষেবা। যদিও পরে দুঃখপ্রকাশ করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানান, সরকারি পরিষেবা বন্ধ রাখার কোনও অভিপ্রায় তাদের ছিল না। কোনও রকম আগাম বার্তা ছাড়া মার্ক জ়াকারবার্গের সংস্থার এই আচমকা পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ অস্ট্রেলিয়ার সরকার। প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন তাঁর ফেসবুক পেজে এ দিন বলেন, ‘স্বাস্থ্য-সহ জরুরি তথ্য পরিষেবা বন্ধ রেখে অস্ট্রেলিয়াকে আনফ্রেন্ড করার এই সিদ্ধান্ত উদ্ধত এবং হতাশাজনক।’
অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজ়িল্যান্ডে ফেসবুকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর উইলিয়াম এস্টন আজ জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়া এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ প্রকাশনা সংস্থাগুলি এবং অস্ট্রেলিয়ার গ্রাহকেরা ফেসবুকে কোনও খবরের লিঙ্ক শেয়ার করতে পারবেন না। কোনও খবর দেখাও যাবে না। অন্য দেশেও ফেসবুকে অস্ট্রেলিয়ার খবর দেখতে পাওয়া যাবে না।
কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত ফেসবুকের? কী ছিল ওই প্রস্তাবিত আইনে? অস্ট্রেলিয়ার সরকারের মতে, গুগল, ফেসবুকের মতো সংস্থাগুলি বিনা খরচে স্থানীয় সংবাদ সংস্থাগুলির খবর দেখায় বা লিঙ্ক শেয়ার করে। অথচ বিজ্ঞাপন থেকে তাদের আয় আকাশছোঁয়া। অন্য দিকে, বিজ্ঞাপন থেকে আয় কমছে দেশীয় সংবাদ সংস্থাগুলির। এই বৈষম্য দূর করতে স্কট মরিসন সরকার ঘোষণা করে, খবর দেখানোর জন্য ফেসবুক, গুগলকে বিভিন্ন সংবাদ সংস্থাগুলির জন্য চুক্তি করতে হবে। সেই অনুযায়ী তাদের অর্থ দিতে হবে। এই শর্ত গুগল মেনে নিলেও ফেসবুক সেই পথে হাঁটেনি। তাই বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্ত।