ইরানে সরকার বিরোধী বিক্ষোভে পুলিশি ধরপাকড়। ছবি: রয়টার্স।
গত বছর হিজাব বিরোধী আন্দোলন শুরুর পর থেকেই ইরানে ক্রমশ বাড়ছে মৃত্যুদণ্ডের হার। আর আদালতে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্তদের বড় অংশই দোষী সাব্যস্ত হচ্ছেন রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে। বৃহস্পতিবার নরওয়েতে মানবাধিকার সংগঠন ‘ইরান হিউম্যান রাইটস’ (আইএইচআর) তেহরানের সরকারি ‘তথ্য’ উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে সে দেশে ৩০৭ জনেরও বেশি বন্দির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র গত মে মাসে ইরানে ১৪২ জনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে!
ইরানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে এক মাসের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ঘটনা বলে আইএইচআর-এর রিপোর্টে দাবি। ২০২২ সালের মে মাসের তুলনায় চলতি বছরের মে মাসে ৭৫ শতাংশ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার হার বেড়েছে বলে ওই রিপোর্টে দাবি। বস্তুত, গত মে মাসে প্রতি দিন গড়ে চার জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে সেখানে। গত সেপ্টেম্বরে তেহরান পুলিশের হেফাজতে হিজাব না পরার অপরাধে আটক তরুণী মাহশা আমিনির রহস্যমৃত্যুর পরে ইরান জুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই বিক্ষোভকারীদের একাংশকে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে।