Crime

Crime: ৩০ বছর পর ‘অপমানের বদলা’ ছাত্রের, ১০১ বার ছুরির কোপে খুন শিক্ষিকা

ছাত্রের দাবি এমনি এমনি তাকে শাস্তি দেন শিক্ষিকা। এ ভাবে কেটে গিয়েছে ৩০ বছরের বেশি। কিন্তু অপমানের ‘জ্বালা’ ভোলেনি গুন্টার উভেন্টস।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ব্রাসেলস শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২২ ১৩:০৭
Share:

৩০ বছর পর হঠাৎ এক দিন শিক্ষিকার বাড়িতে উপস্থিত হয় প্রাক্তন ছাত্র। প্রতীকী ছবি।

তখন বয়স মাত্র সাত বছর। ভরা ক্লাসে সহপাঠীদের সামনে খুদেকে শাসন করেছিলেন শিক্ষিকা। কিন্তু সেদিনের ছাত্রের দাবি, তিনি নির্দোষ ছিলেন। এমনি এমনি তাকে শাস্তি দেন শিক্ষিকা। এ ভাবে কেটে গিয়েছে ৩০ বছরের বেশি। কিন্তু অপমানের ‘জ্বালা’ ভোলেননি গুন্টার উভেন্টস। একদিন প্রাথমিক শিক্ষিকার বাড়িতে ঢুকে তাকে ১০১ বার ছুরির কোপ বসাননি তিনি। মৃত্যু হয় শিক্ষিকার। দু’বছর পর গত বৃহস্পতিবার আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে নিলেন গুন্টার। তাঁর স্বীকারোক্তি শুনে কার্যত হতবাক আইনজীবীরাও।

Advertisement

তদন্তকারীদের গুন্টার জানান, সে দিন ক্লাসে বিনা কারণে তাঁকে অপমান করেছিলেন তাঁর শিক্ষিকা মারিয়া ভেরিল্যান্ডেন। তখন তার বয়স ছিল মাত্র সাত বছর। তার পর ৩০ বছর কেটে গেলেও অপমানের জ্বালা মেটেনি। প্রতিশোধ নিতেই হবে। সেই উদ্দেশ্যে ২০২০ সালে অ্যান্টওয়ার্পে ওই শিক্ষিকার বাড়ি পৌঁছে যান তিনি। তার পর ৫৯ বছর বয়সি শিক্ষিকাকে ক্ষতবিক্ষত করেন ছুরির আঘাতে।

বেলজিয়ামের সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, শিক্ষিকার শরীরে মোট ১০১ বার ছুরি কোপ বসান হত্যাকারী। কিন্তু তদন্তে নেমে অপরাধীকে শনাক্ত করতে বেগ পায় পুলিশ। শিক্ষিকার পাশেই পড়েছিল তাঁর মানিব্যাগ। সেখানে নগদ টাকা ছিল। বাড়ির আসবাবপত্রও ছিল যথাস্থানেই। তা হলে খুনের কারণ কী?

Advertisement

ঘটনার ১৬ মাস পর ২০২০ সালের নভেম্বর এক বন্ধুর কাছে নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেন গুন্টার। সেই বন্ধুই পুলিশকে জানানোর পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে তারা। গত বৃহস্পতিবার আদালত খুনের দায়ে গুন্টারকে দোষী সাব্যস্ত করেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement