মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। —ফাইল চিত্র।
ভারতীয় সেনাদের নিয়ে ‘মিথ্যা’ কথা বলেছেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মু্ইজ্জু, দাবি করলেন সে দেশেরই প্রাক্তন মন্ত্রী। মুইজ্জুর বক্তব্য তুলে ধরে তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন। সেই সঙ্গে তুলে ধরলেন ‘সত্য’ও।
মলদ্বীপের ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট এবং প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লা শাহিদ এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে প্রেসিডেন্টকে আক্রমণ করেছেন। জানিয়েছেন, মলদ্বীপে ভারতীয় সেনাদের উপস্থিতি নিয়ে মুইজ্জু যা দাবি করেছিলেন, তা অসত্য। আবদুল্লা বলেন, ‘‘১০০ দিন পেরিয়ে গেল। এটুকু পরিষ্কার যে, প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু ‘হাজার হাজার ভারতীয় সেনা’ নিয়ে যে দাবি করেছিলেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এটি ওঁর অন্য অনেক মিথ্যার তালিকায় আরও এক সংযোজন। বর্তমান প্রশাসন সঠিক পরিসংখ্যান দিতে ব্যর্থ। এই মুহূর্তে দেশে কোনও বিদেশি সশস্ত্র সেনা নেই।’’
বস্তুত, গত বছরের ১৭ নভেম্বর মলদ্বীপে ক্ষমতায় এসেছিলেন মুইজ্জু। তাঁর নির্বাচনী প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার ছিল, মলদ্বীপে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পরিসংখ্যান। প্রচারে মুইজ্জু দাবি করেছিলেন, তাঁদের দেশে হাজার হাজার ভারতীয় সেনা রয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে মলদ্বীপে ৭০ জন ভারতীয় সেনা রয়েছেন। ক্ষমতায় আসার পরেই মুইজ্জু ভারতকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। পরে তিনি সেনা সরানোর জন্য ভারতকে সময় বেঁধে দেন। ১০ মে-র মধ্যে সেনা সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে নয়াদিল্লিকে। পরে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, মলদ্বীপ থেকে সেনা সরিয়ে সেখানে সমসংখ্যক প্রযুক্তিবিদকে পাঠানো হবে।
মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু ‘ভারতবিরোধী এবং ‘চিনপন্থী’ হিসাবে পরিচিত। ক্ষমতায় আসার পরেই তিনি চিন সফর সেরে এসেছেন। সম্প্রতি, ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের সম্পর্কের অবনতিও হয়েছে বেশ খানিকটা। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগ ওঠে মলদ্বীপের মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে। সমাজমাধ্যমে তা প্রকাশ্যে আসার পর ভারতের তরফে ‘বয়কট মলদ্বীপ’ ডাক দেওয়া হয়েছিল। মলদ্বীপে যাওয়ার বহু টিকিট বাতিল হয়ে যায় রাতারাতি। এই পরিস্থিতিতে ভারতকে সেনা সরানোর জন্য সময় বেঁধে দেন মুইজ্জু, যা বিতর্ককে আরও উস্কে দিয়েছে।