—প্রতীকী চিত্র।
তৃণমূলের উপপ্রধানকে গুলি করে খুন করলেন দুষ্কৃতীরা। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের গুমা ১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছিলেন বিজন দাস। এলাকায় তাঁর প্রভাব ছিল। রবিবার রাতে তাঁকে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বিজন গুমা ১ পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান। বর্তমানে তিনি উপপ্রধান পদে ছিলেন। রবিবার রাতে তিনি দলের এক কর্মীর বাড়িতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সে সময় স্থানীয় এক জমি ব্যবসায়ী এবং আরও কয়েক জনের সঙ্গে তাঁর বচসা হয়। ওই ব্যবসায়ীর নাম গৌতম দাস। পুলিশ সূত্রে খবর, বচসা চলাকালীন এক দুষ্কৃতী বিজনের খুব কাছে পৌঁছে যান এবং তাঁকে গুলি করেন। পর পর দু’টি গুলি করা হয় বলে অভিযোগ। বিজনের কানে এবং মাথায় গুলি লাগে।
গুরুতর জখম অবস্থায় বিজনকে নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় অশোকনগর থানার পুলিশ। তারা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বিজন পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হওয়ার পর থেকেই দলের অভ্যন্তরে নানা স্তরে গোষ্ঠীকোন্দল দানা বেঁধেছিল। তবে রাজনৈতিক কারণে এই খুন কি না, তা স্পষ্ট নয়।
বিজনের মৃত্যুর খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে আসেন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনি বলেন, ‘‘মর্মান্তিক ঘটনা। বিজনের মৃত্যুতে দলের অপূরণীয় ক্ষতি হল। ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে ও দলের সঙ্গে ছিল। ওকে এ ভাবে খুন হতে হল, এটা আমার কাছে অবিশ্বাস্য লাগছে। পুলিশ তদন্ত করছে।’’
স্থানীয় বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী বিজনের মৃত্যুতে অভিযুক্ত গৌতমের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেছেন।