ফাইল ছবি।
অবশেষে কি অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে? ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ‘এগজিকিউটিভ’ শাখা ইউরোপীয় কমিশন ইউক্রেনের ইইউ সদস্যপদ পাওয়ার ক্ষেত্রে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে। আগামী দিনে বেলজিয়মের ব্রাসেলসে ইইউ-এর সদস্য দেশগুলো এই প্রক্রিয়া নিয়ে বিশদে আলোচনা চালাবে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ইউরোপীয় কমিশনের সবুজ সঙ্কেত নেহাতই আনুষ্ঠানিক, কিন্তু কিভের কাছে বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে তার তাৎপর্য কম নয়। ইউক্রেন বড্ড বেশি ইউরোপের মুখাপেক্ষী। কিভকে নিয়ে এটাই ছিল মস্কোর সবচেয়ে বড় অভিযোগ। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই কারণেই ইউক্রেনকে ‘সবক’ শেখাতে ফেব্রুয়ারিতে হামলা চালায় রাশিয়া। যে যুদ্ধ এখনও থামার নাম নেই। এই গোটা পর্বে কিভের প্রধান অসন্তোষের জায়গা ছিল, যে ইউরোপ প্রীতির কারণে রাশিয়ার হামলার মুখে পড়ছে তাদের, সেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনও তাদের সদস্যপদ দিচ্ছে না। বস্তুত, বার বার আবেদন নিবেদনেও কাজ না হওয়ায় পুরোদস্তুর যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, কোনও গোষ্ঠীর সদস্য হওয়ার জন্য আর লালায়িত নয় তাঁর দেশ। এ বার সেই বহু প্রতীক্ষিত গোষ্ঠীর সদস্যপদ কি বাস্তব হতে চলেছে?
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেয়েন বলেন, ‘‘ইউক্রেনকে সদস্য দেশ হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো উচিত।’’ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইইউ-এর সদস্য হওয়ার পথ দীর্ঘ। সমস্ত শর্ত পূরণ করে পূর্ণ সদস্যপদ পেতে এক দশক গড়িয়ে যেতে পারে। তবে উরসুলার এই মন্তব্যের পর আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়াটি শুরু হল, তা বলা যায়। তিনি আরও জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি সদস্য দেশ আগামী সপ্তাহে ব্রাসেলসে মিলিত হবেন। সেখানে এই সংক্রান্ত বিশদ আলোচনা হবে।
একই সঙ্গে মলডোভাকেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন উরসুলা। তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, তৃতীয় দাবিদার দেশ জর্জিয়ার ব্যাপারে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি তিনি।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।