গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
শুল্ক নিয়ে আমেরিকা আলোচনায় বসতে চাইলে ‘দরজা খোলা’। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের চাপের কাছে মাথা নত করবে না চিন। বৃহস্পতিবার স্পষ্ট ভাবে এ কথা জানিয়ে দিলেন চিনের বাণিজ্য দফতরের মুখপাত্র হে ইয়ংকিয়ান। তিনি বলেন, “যদি আমেরিকা কথা বলতে চায়, তবে আমাদের দরজা খোলাই রয়েছে। কিন্তু সেই আলোচনা হতে হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সমতার ভিত্তিতে।” একই সঙ্গে খানিক হুঁশিয়ারির সুরেই তিনি বলেন, “চাপ দিয়ে, হুমকি দিয়ে কিংবা ব্ল্যাকমেল করে চিনের সঙ্গে বোঝাপড়ায় আসা যায় না।”
বাকি দেশগুলিকে ৯০ দিনের জন্য ছাড় দিলেও ‘পারস্পরিক শুল্ক’ নিয়ে চিনকে রেয়াত করেননি ট্রাম্প। বরং চিনা পণ্যের উপর শুল্কের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি করেছেন তিনি। চিনা পণ্যে ১২৫ শতাংশ হারে শুল্ক নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আমেরিকা। আর তার জবাবে বুধবারই মার্কিন পণ্যে অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করে মোট ৮৪ শতাংশ হারে শুল্ক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেজিং। এর আগে মার্কিন পণ্যে ৩৪ শতাংশ শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বেজিং।
শুল্কযুদ্ধে চিনের অনমনীয় অবস্থান এবং তার পরিণতির উদাহরণ তুলে বিশ্বকে বার্তা দিয়েছেন ট্রাম্পও। অন্য দেশগুলিকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে শুল্ক ছাড় নিয়ে সমঝোতার বার্তাও দিয়ে রেখেছেন। হোয়াইট হাউসের তরফে বুধবার প্রকাশিত ট্রাম্পের বার্তায় বলা হয়েছে, ‘‘প্রতিশোধ নেওয়ার পথে হাঁটবেন না, তা হলে আপনাকে পুরস্কৃত করা হবে।’’
‘পারস্পরিক শুল্ক’ নিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে বিবাদ যখন তুঙ্গে, তখন আমেরিকা এবং চিন আলোচনায় বসে সমঝোতার পথে হাঁটে কি না, তা নিয়েই কৌতূহল তৈরি হয়েছে।