প্রতিবাদে পথে আফগান মহিলারা।
মেয়েদের প্রতিবাদ দমনের ঘটনায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-র কাছে ধমক খেল আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। ক্ষমতা দখলের এক বছরের মধ্যে অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি, এই অভিযোগ তুলে রাজধানী কাবুলের পথে নেমেছিলেন মহিলারা। তাঁদের প্রতিবাদকে যে ভাবে দমন করা হয়েছে, কড়া ভাষায় তার নিন্দা করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, মানবাধিকার বিশেষত, শিশু, মহিলা এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার প্রদানে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে তালিবান সরকারকে।
ইউনিয়নের বিদেশনীতি বিষয়ক দফতরের প্রধান জোসেফ বরেল বিবৃতি জারি করে জানান, আফগান মহিলাদের শিক্ষার অধিকার এবং মৌলিক পরিষেবাগুলি থেকে যে ভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ইইউ। বিবৃতিতে লেখা, ‘আফগানিস্তানকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক চুক্তি মেনে চলতে হবে। অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার রক্ষা করতে হবে। এরই পাশাপাশি, সরকার পরিচালনায় সর্বস্তরের মানুষ যাতে পূর্ণ এবং সমান ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারেন, তার পরিসর তৈরি করে দিতে হবে।’
প্রসঙ্গত, শনিবার কাবুলের রাস্তায় প্ল্যাকার্ড, ব্যানার হাতে জমায়েত করেছিলেন আফগান মহিলারা। তাতে লেখা ছিল, ‘১৫ অগস্ট কালো দিন’। মুখে স্লোগান, ‘রুটি, কাজ, স্বাধীনতা’। মহিলাদের মিছিল ভেঙে দিতে প্রথমে শূন্যে গুলি চালান তালিব যোদ্ধারা। প্রাণ বাঁচাতে আন্দোলনকারী মহিলাদের কয়েক জন লুকিয়ে পড়েন আশপাশের দোকানে। সেখানে গিয়েও রেহাই মেলেনি। তাঁদের খুঁজে বার বন্দুকের বাঁট দিয়ে তাঁদের মারা হয়েছে বলে অভিযোগ।