কানে কিছু ঢুকলে খোঁচাবেন না। ছবি: সংগৃহীত
নিভৃতে নিজের মনে কাজ করেছেন। হঠাৎ বলা নেই, কওয়া নেই কোথা থেকে একটি পোকা উড়ে এসে সটান ঢুকে গেল কানে। এমন আচমকা কিছু কানে ঢুকে গেলে তড়াক করে লাফিয়ে ওটাই দস্তুর। কানে সুড়সুড় করলে যেমন তীব্র অস্বস্তি হয়, তেমনই কানের ভিতর থেকে সেটি বার করতে গিয়ে পান থেকে চুন খসলে বিগড়ে যেতে পারে শ্রবণশক্তিও। শিশুদের ক্ষেত্রে বিড়ম্বনা তো আরওই বেশি। পোকা-মাকড় থেকে ছোট কোনও জড়বস্তুর টুকরো, যা-ই ঢুকুক না কেন, কানের মতো সংবেদনশীল জায়গার জন্য তা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। এমন ঘটলে কী করবেন এবং কী করবেন না?
এই ধরনের ঘটনা ঘটলে অধিকাংশ মানুষই কানে আঙুল ঢুকিয়ে দেন। এতে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কাই বেশি। নিজেরা কিছু না করে আক্রান্ত ব্যক্তিকে জরুরি ভিত্তিতে নিয়ে যেতে হবে চিকিৎসকের কাছে। কানে যা ঢুকেছে, সেটি জীবন্ত পোকা-মাকড় নাকি জড় বস্তু, সেটা বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
যদি নিশ্চিত ভাবে বুঝতে পারেন যে জড় বস্তু তা হলে তাড়াহুড়ো না করলেও চলবে। তবে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে অবশ্যই। নিজেরা ডাক্তারি করতে গেলে যদি কানের পর্দা ফুটো হয়ে যেতে পারে। কোনও ধরনের চিমটে জাতীয় যন্ত্র কিংবা কাঠি ব্যবহার করলেই বাড়বে বিপদ।
যদি পোকা-মাকড় ঢুকে থাকে তবে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসককে দেখানো দরকার।
অন্য দিকে, যদি জীবন্ত কিছু অর্থাৎ, পোকা-মাকড় ঢুকে থাকে এবং তীব্র অস্বস্তি অনুভূত হয়, তবে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসককে দেখানো দরকার। পাশাপাশি, এ ক্ষেত্রে জরুরি ভিত্তিতে দু’-এক ফোঁটা অলিভ ওয়েল ধীরে ধীরে কর্ণকুহরে দিয়ে দেওয়া যেতে পারে। অনেক সময়ে তেলের প্রভাবে বেরিয়ে আসে পোকা। তবে যত দ্রুত সম্ভব নাক-কান-গলার বিশেষজ্ঞ কোনও চিকিৎসকের কাছে যেতে পারবেন ততই মঙ্গল।