ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশন। —ফাইল চিত্র।
ঠিক দু’সপ্তাহ আগে দিল্লির পাক দূতাবাসের দুই কর্মী আবিদ হুসেন ও মহম্মদ তাহিরের বিরুদ্ধে চরবৃত্তির অভিযোগ এনে তাঁদের ভারত ছাড়তে বলেছিল দিল্লি। আজ ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাসের দুই কর্মী সুলভাদেশ পল ও দওয়ামু ব্রাহমুর গ্রেফতারি নিয়ে দিনভর টানটান কূটনৈতিক ‘নাটক’ দেখল দিল্লি ও ইসলামাবাদ। রাতে সুলভাদেশ ও দওয়ামুকে মুক্তি দেয় পাকিস্তান। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের দাবি, আবিদ-তাহিরের ঘটনার পাল্টা হিসেবেই এই পদক্ষেপ পাকিস্তানের।
আজ সকালে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক দাবি করে, সকাল আটটা থেকে ভারতীয় দূতাবাসের দুই কর্মী নিখোঁজ। তাঁরা দূতাবাসের গাড়ি নিয়ে কাজে বেরিয়েছিলেন। তার পর থেকে তাঁদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে দাবি করা হয়, ওই দুই কর্মীকে হেফাজতে নিয়েছে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। দিল্লিতে নিযুক্ত শীর্ষ পাক কূটনীতিক সৈয়দ হায়দর শাহকে ডেকে প্রতিবাদপত্র (ডিমার্শ) দেয় বিদেশ মন্ত্রক। তাঁকে জানানো হয়, পাকিস্তানে কর্মরত ভারতীয়দের নিরাপত্তার দায় পাক সরকারেরই।
এর পরেই পাক সংবাদমাধ্যমের একাংশে সে দেশের বিদেশ মন্ত্রক সূত্রকে উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়, ওই দুই ভারতীয়কে গাড়ির ধাক্কায় এক পথচারীকে জখম করার ঘটনায় গ্রেফতার করেছে ইসলামাবাদ পুলিশ। সংবাদমাধ্যম জানায়, এ দিন সকালে ইসলামাবাদের এমব্যাসি রোডে তীব্র গতিতে চলছিল একটি বিএমডব্লিউ গাড়ি। সেটির ধাক্কায় এক পথচারী আহত হন। গাড়ির দুই আরোহীকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় জনতা। পুলিশ বুঝতে পারে, তাঁরা ভারতীয় দূতাবাসের কর্মী। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে পাল্টা দাবি করা হয়, এটা সাজানো ঘটনা। ইসলামাবাদের রাজপথে সকালে ওই গতিতে গাড়ি চালানোর প্রশ্নই উঠছে না।
রাতে ভারতীয় দূতাবাসের ওই দুই কর্মীকে মুক্তি দেয় পাকিস্তান। পাক বিদেশ মন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, এক দুর্ঘটনার জেরেই ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের দাবি, মার্চ মাসেই ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদের হেনস্থা করার অভিযোগ নিয়ে ইসলামাবাদকে কড়া ভাষায় চিঠি লিখেছিল তারা। সেই চিঠিতে ভারত শুধুমাত্র মার্চ মাসেই ঘটা ১৩টি উদাহরণ তুলে ধরে। পাকিস্তানকে এমন ঘটনা বন্ধ করার জন্য অনুরোধ জানায়। সম্প্রতি পাকিস্তানে কর্মরত ভারতীয় দূতাবাসের শীর্ষ আধিকারিক গৌরব অহলুওয়ালিয়ার গাড়িটিকে আইএসআইয়ের এক কর্মী অনুসরণ করেছিল বলে দাবি সাউথ ব্লকের।
আরও পড়ুন: এবার তাসের ঘরের মতো নদীতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল তিন তলা বাড়ি