ইলন মাস্ক। ফাইল চিত্র।
ব্যক্তিগত জীবন, ব্যবসায়িক পরিকল্পনা, সব কিছু নিয়েই বরাবর খুল্লমখুল্লা তিনি। এ বার নিজের রাজনৈতিক অবস্থানও স্পষ্ট করলেন টুইটার-কর্তা ইলন মাস্ক। জানিয়ে দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প নন, আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসাবে তিনি কাকে সমর্থন জানাতে চলেছেন।
শনিবার একটি টুইট করে দেশের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসাবে কেমন মানুষকে পছন্দ, তা জানিয়েছেন মাস্ক। বলেছেন, “২০২৪ সালে দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আমি এমন কাউকেই সমর্থন করব, যিনি সংবেদনশীল এবং মধ্যপন্থী হবেন।” একই সঙ্গে তাঁর দাবি, বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর এ বিষয়ে অনেকটা প্রত্যাশা থাকলেও, তিনি আশাহত হয়েছেন। প্রসঙ্গত, ট্রাম্প রাজনৈতিক অবস্থানের দিক থেকে অতি দক্ষিণপন্থী বলেই পরিচিত। দক্ষিণপন্থা নয়, মধ্যপন্থাতেই যে তিনি আস্থাশীল, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মাস্ক।
আগের আরও একটি টুইটে মাস্ক জানিয়েছিলেন দুই ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট ওবামা এবং বাইডেনের সমর্থক ছিলেন তিনি। ২০২০ সালের নির্বাচনে অনিচ্ছা সত্ত্বেও তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বাইডেনকে ভোট দিয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
মাস্কের এই বক্তব্যের পরেই নেটাগরিকদের একাংশ কৌতূহলী হয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘আপনি কি ২০২৪-এ রন দেসান্টিসকে সমর্থন করতে চলেছেন?’ সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় ‘হ্যাঁ’ বলেন মাস্ক। কিছু দিন আগেই ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন তিনি আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন। তাঁর সমর্থকরা ইতিমধ্যেই ট্রাম্পের হয়ে প্রচার করতে শুরু করে দিয়েছেন। ট্রাম্পের মতো দেসান্টিসও রিপাবলিকান। এক সময়ের ট্রাম্প-সমর্থক দেসান্টিস অধুনা ট্রাম্পবিরোধী হিসাবেই দলের অন্দরে পরিচিত। রিপাবলিকানদের একাংশ জানাচ্ছেন, নির্বাচনে প্রাথমিক পর্বে ট্রাম্পের সঙ্গে টক্কর হতে পারে দেসান্টিসেরই।
কিছু দিন আগেই ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মাস্ক। গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল যে, মাস্ক ট্রাম্পের অনুগামী। কিন্তু ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেওয়ার আগে জনমত নিয়েছিলেন তিনি। সেই মতের ভিত্তিতেই বিতর্কিত এই প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন টেসলা-কর্তা। অনুগামী হওয়া দূরস্থান, রাজনৈতিক ভাবেও যে তিনি ট্রাম্পকে পছন্দ করেন না, তা বুঝিয়ে দিলেন মাস্কই।