ব্রাজ়িলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসেনারো। —ফাইল চিত্র।
ক্ষমতার অপব্যবহার করার অভিযোগে ব্রাজ়িলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসেনারোর ভোটে লড়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করল সে দেশের নির্বাচন সংক্রান্ত সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম ইলেকটোরাল কোর্ট। আদালতের নির্দেশে আপাতত আট বছর ব্রাজ়িলের কোনও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না ‘অতি দক্ষিণপন্থী’ বলে পরিচিত এই রাজনীতিক। যদিও বোলসেনারোর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানাতে পারেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের কৌঁসুলিরা। সে ক্ষেত্রে রায় পরিবর্তিত না হলে আপাতত ব্রাজ়িলের রাজনীতি থেকে দূরেই থাকতে হবে ‘বিতর্কিত’ বোলসেনারোকে।
২০২২ সালে ব্রাজ়িলের সাধারণ নির্বাচনে বামপন্থী নেতা লুলা দি সিলভার কাছে হেরে যান বোলসেনারো। ভোটে হেরে দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর সমর্থকেরা ব্রাজ়িলের সংসদ ভবন আক্রমণ করার চেষ্টা করেন। তবে ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে মামলা হয়। সেটি ঘটে ২০২২ সালের জুলাই মাসে। গত ১৮ জুলাই ব্রাজ়িলের প্রেসিডেন্ট হিসাবে কিছু বিদেশি কূটনীতিবিদকে নিজের বাসভবনে আমন্ত্রণ জানান বোলসেনারো। অভিযোগ, বিদেশি অতিথিদের সামনে তিনি দাবি করেন যে কী ভাবে ব্রাজ়িলের ভোটে ব্যবহৃত ইভিএমগুলিকে বাইরে থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে বোলসেনারো বার বার দাবি করেছেন যে, তিনি ব্রাজ়িলের নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে অতিথিদের বোঝানোর চেষ্টা করেন।
ব্রাজ়িলের আদালত বোলসেনারোকে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’ করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। আদালতের রায় শোনার পর বোলসেনারো গোটা বিষয়টিকে ‘পিছন থেকে ছুরি মারা’ বলে অভিহিত করেছেন। ব্রাজ়িলের দক্ষিণপন্থী রাজনীতির স্বার্থে তিনি কাজ করে যাবেন বলেও জানিয়েছেন। আদালতের রায় বহাল থাকলে ২০২৬-এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, ২০২৪ এবং ২০২৮ সালের পৌরসভা নির্বাচনে লড়তে পারবেন না বোলসেনারো। ২০৩০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি আবার লড়াই করতে পারবেন।