ধ্বংসস্তূপের নীচে তিন দিনের বেশি সময় ধরে আটকে থাকার পর উদ্ধার করা হয়েছে ৬ বছরের শিশু নাসরিনকে। ছবি: সংগৃহীত।
তুরস্কের ধ্বংসস্তূপের নীচে তিন দিনের বেশি সময় ধরে আটকে থাকার পর উদ্ধার করা হয়েছে ৬ বছরের শিশু নাসরিনকে। বর্তমানে তার ঠাঁই হয়েছে তুরস্কের সাহায্যে যাওয়া ভারতীয় সেনা শিবিরে। বৃহস্পতিবার নাসরিনকে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়। সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, এর পরই তাকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৬ প্যারাফিল্ড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
হাসপাতালের এক জন চিকিৎসক বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় উদ্ধারকারীরা নাসরিনকে আমাদের কাছে নিয়ে আসে। তখন তার অবস্থা স্থিতিশীল ছিল না। বাঁ পায়ে গভীর চোট ছিল। খুব ভালো ভাবে তার যত্ন নেওয়া হয়েছিল। এখন তার অবস্থা স্থিতিশীল।’’
এক দিনের মধ্যে উদ্ধারে যাওয়া ভারতীয় দলের সঙ্গে খুব ভাল ভাবে মিশে গিয়েছে নাসরিন।
নাসরিনের মাকেও ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তার বাবা ও দুই ভাই এখনও নিখোঁজ। ভারতীয় সেনা শিবারের একজন আধিকারিক বলেন, ‘‘নাসরিনের পরিবারে পাঁচ জন সদস্য ছিল। তারা সবাই ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে ছিল। নাসরিন ও তার মাকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার বাবা ও দুই ভাই এখনও নিখোঁজ রয়েছে। উদ্ধারকারীরা তাদের খোঁজ চালাচ্ছে।’’
তবে বেড়েই চলেছে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্ক এবং সিরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা! সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ভূমিকম্পের কবলে পড়া দুই দেশে মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার পার করেছে। সেই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছে সেই দু’দেশের প্রশাসন। আহতের সংখ্যাও প্রায় ৪০ হাজার।
ভেঙে পড়া বাড়িগুলির ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উদ্ধার হচ্ছে কেবল মৃতদেহ। মৃতের পাহাড় জমছে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালগুলিতে। চারিদিকে শুধু কান্নার রব আর খাবারের জন্য আর্তনাদ। এরই মধ্যে তীব্র ঠান্ডা এবং শৈত্যপ্রবাহের কারণে বাধা পড়ছে উদ্ধারকাজেও। রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে উদ্ধারকারী দল সিরিয়ার সরকার-বিরোধী গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলিতে উদ্ধার নামলেও বিশেষ লাভ হয়নি। বিপর্যয় মোকাবিলার নীতি নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে সমালোচনার মুখে পড়েছিল তুরস্ক সরকার। উদ্ধারকাজে সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন সে দেশের প্রেসিডেন্টও।