ভূমিকম্পের জেরে জাপানে ভেঙে পড়েছে দেওয়াল। ছবি—রয়টার্স।
শক্তিশালী ভূমিকম্পে গত কাল রাতে কেঁপে উঠল জাপানের উত্তর-পূর্ব অংশের বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রাণহানির ঘটনা না-ঘটলেও ভূকম্পনে আহত হয়েছেন শতাধিক। ক্ষতিগ্রস্ত বহু বাড়ি, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, রেল পরিষেবা। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.৩।
জাপানের আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে, ২০১১ সালের মার্চে যে ভূমিকম্প হয়েছিল, রিখটার স্কেলে তার তীব্রতা ছিল ৯.০। গত কাল রাতের ভূ্মিকম্পটি তারই আফটার শক। এই ধরনের আফটার শক আরও হতে পারে।
কাল রাত ১১টা ৮ মিনিটে ভূকম্পন হয়। দেশের উত্তর-পূর্বাংশের বহু বাড়িতে ফাটল ধরেছে, ভেঙে পড়েছে জানলা, বিদ্যুৎ পরিষেবাও ব্যাহত হয়েছে। ফুকুসিমায় বহু জায়গায় ধস নেমেছে। কম্পনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে টোকিয়ো শহরের বাড়িগুলিও কেঁপে উঠেছিল। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে তোহোকু অঞ্চলের মিয়াগি ও ফুকুসিমা এলাকায়। দু’টি অঞ্চলের বড় অংশে রাতে বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। আজ সকালে অনেক জায়গায় জলের ট্যাঙ্কার পাঠিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়েছে প্রশাসনকে। গত রাতে ছিন্ন হওয়া বিদ্যুৎ সংযোগও আজ চালু করা গিয়েছে। জাপানের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভূমিকম্পে অন্তত ১০৪ জন আহত হয়েছেন। অধিকাংশেরই হাড় ভেঙে গিয়েছে।
মন্ত্রিসভার মুখ্য সচিব কাতসুনোবু কাতো সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, গত পরশু উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেশ কিছু জায়গায় করোনা প্রতিষেধক পাঠানো হয়েছিল। বিদ্যুৎ বিভ্রাট অবশ্য তাতে কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি।
ভূকম্পনের ফলে শিনকানসেন বুলেট ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। আগামী পরশুর আগে পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভবনা নেই বলেই প্রশাসন সূত্রের খবর। সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পরমাণু চুল্লিগুলির ক্ষতি হয়নি।