(বাঁ দিকে) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। —ফাইল চিত্র।
তাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককে বিমস্টেক গোষ্ঠীর শীর্ষ সম্মেলনের সময় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বিপাক্ষিক পার্শ্ববৈঠক হবে না। শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদীর কোনও দ্বিপাক্ষিক কর্মসূচিতে যোগদানের পরিকল্পনা নেই।
ঘটনাচক্রে, ইউনূসের চিন সফরের সময়ই এই বার্তা দেওয়া হল বিদেশ মন্ত্রকের তরফে। বেজিং থেকে ঢাকায় ফিরেই ইউনূস তাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককে যাবেন বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে। আগামী ২ থেকে ৪ এপ্রিলের সেই সম্মেলনে যোগ দেবেন মোদীও। বিদেশ মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ব্যাঙ্ককে মোদীর সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকে বসার ইচ্ছাপ্রকাশ করে বার্তা পাঠিয়েছিলেন ইউনূস। কিন্তু সম্ভবত তাতে সাড়া দিচ্ছে না সাউথ ব্লক।
গত ৫ অগস্ট গণঅভ্যুত্থানের জেরে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীপদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন। সেই থেকে আওয়ামী লীগ নেত্রী ভারতেই রয়েছেন, যা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পদাধিকারীরা নয়াদিল্লিকে নিশানা করেছেন। পাশাপাশি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ধারাবাহিক ঘটনাও নয়াদিল্লি-ঢাকা টানাপড়েনের অনুঘটক হয়েছে। তাই ব্যাঙ্ককে আদৌ মোদী-ইউনূস বৈঠক হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে কূটনীতিকদের অনেকের মনেই। ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পরে প্রায় আট মাস পেরিয়ে গেলেও মোদীর সঙ্গে তাঁর মুখোমুখি আলোচনা হয়নি।
ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম সংবাদমাধ্যম ‘দ্য হিন্দু’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ব্যাঙ্ককে বিমস্টেকের শীর্ষ সম্মেলনের সময় মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে চান ইউনূস। সেই সঙ্গে মুখ্য উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ার পরে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরের জন্য ইউনূসের চিনকে বেছে নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, ‘‘চিন সফর চূড়ান্ত করার অনেক আগে প্রধান উপদেষ্টা ভারতে যেতে চেয়েছিলেন। সেই ইচ্ছা প্রকাশ করে অন্তর্বর্তী সরকার গত ডিসেম্বরেই ভারতকে বার্তা পাঠিয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ভারত থেকে ইতিবাচক কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।’’ এ বারও সম্ভবত নয়াদিল্লি থেকে ‘ইতিবাচক সাড়া’ পাচ্ছে না ঢাকা।