—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
হইহই করে পুজোর আয়োজন শুরু হয়ে গিয়েছে কানাডার কিংস্টন শহরে। পুজোর হল বুকিং, চাঁদা কালেকশন, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার, সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার প্রস্তুতি— সব কিছু তুঙ্গে। গত বছর হঠাৎ করেই কিংস্টনে দুর্গাপুজো শুরু হয়েছে। প্রায় রাতারাতিই তৈরি হয়েছিল কিংস্টন দুর্গাপূজা কমিটি। মাত্র ২-৩ সপ্তাহের আয়োজনে কুমোরটুলি থেকে আকাশপথে মায়ের প্রতিমা আনিয়ে কিংস্টনের ইতিহাসে প্রথম দুর্গাপুজো করেছিলাম আমরা। সকলের থেকে আশাতীত সাহায্য আর সমর্থন পেয়ে সুপারহিট হয়েছিল গতবারের দুর্গাপুজো। কিংস্টনের সকল বাঙালিকে এক করা এই পুজোর সব থেকে বড় প্রাপ্তি। গত এক বছরে আমরা সরস্বতী পুজো, নববর্ষ, বার্ষিক পিকনিকের মতো বেশ কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আট থেকে আশি সবার যোগদান পেয়েছি।
বিদেশে অনেক সময়েই পাঁচ দিন ধরে পুজোর আয়োজন করা সম্ভব হয় না। আমরা পুজো করব আগামী শনিবার, ১ তারিখ, স্পায়ার নামে একটি কমিউনিটি হলে। এ দেশের নিয়ম-কানুন মেনে আগুন জ্বালিয়ে যজ্ঞ করার অনুমতি না মিললেও প্রদীপ জ্বালানোর অনুমতি মিলেছে।
আমরা চাই যে যথাসম্ভব মানুষ এই দুর্গাপুজোয় অংশ নিন। এ বছর তাই আমরা ১৫ কানাডিয়ান ডলারের রেজিস্ট্রেশন ফি ধার্য করেছি। সারা দিনের পুজো ও সন্ধ্যার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ ছাড়াও যাঁর রেজিস্ট্রেশন ফি দিচ্ছেন, তাঁদের জন্য দু’বেলা পেটপুরে নিরামিষ ভোজের আয়োজন থাকছে।
মহালয়ার দিন প্রকাশিত হয়েছে কিংস্টন দুর্গাপূজা কমিটির প্রথম পূজাবার্ষিকী। গত বছর দুর্গাপুজোর বিশেষ আকর্ষণ ছিল সাংস্কৃতিক সন্ধ্যানুষ্ঠান। ‘মহিষাসুরমর্দিনী’র নস্টালজিয়াকে এক চিত্তাকর্ষক নৃত্যনাট্যের রূপে পরিবেশন করেছিল কলাকুশলীরা। অনেকেই অপেক্ষা করে আছেন এ বছরের সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার। সবাই হারিয়ে যেতে চান ছোটবেলার স্মৃতিমেদুরতায়।