Thailand

কার্ফুর জন্য বন্ধ রোজগার, ঘর ভাড়া মেটাতে হন্যে হয়ে গ্রাহক খুঁজছেন যৌনকর্মীরা

স্তব্ধ জনজীবনের জেরে সমস্যার মুখে পড়েছেন সে দেশের বিশাল সংখ্যক যৌনকর্মী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা                  

ব্যাঙ্কক শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২০ ১৬:০২
Share:

প্রতীকী ছবি।

ভারত-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে লকডাউন। কোথাও কোথাও আবার কার্ফুও জারি হয়েছে। যেমন তাইল্যান্ডেই করোনা সংক্রমণ রোধে জারি হয়েছে আংশিক সময়ের কার্ফু। বন্ধ হয়েছে বাইরে থেকে আসা বিমান পরিষেবা। স্তব্ধ জনজীবনের জেরে সমস্যার মুখে পড়েছেন সে দেশের বিশাল সংখ্যক যৌনকর্মী।

Advertisement

সে দেশের ব্যাঙ্কক, পাটায়ার মতো বড় শহরগুলিতে সারা বছর পর্যটকদের যাতায়াত লেগেই থাকে। কার্ফুর জেরে সেখানকার বার, নাইট ক্লাব, মাসাজ পার্লার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ওই দেশে যৌনপেশায় প্রায় তিন লক্ষ জন কাজ করেন। এখন কাজ হারিয়েছেন তাঁরা। দিতে পারছেন না ঘরের ভাড়া। খাবার কেনার টাকাও নেই কারও কারও কাছে। তাই করোনার ভয় বুকে নিয়েই গ্রাহক পেতে মরিয়া তাঁরা।

যেমন, পিম নামে সেখানকার এক ট্রান্সজেন্ডার যৌনকর্মী, ভাড়া না দিতে পারায় রাস্তায় থাকছেন। ঘরের ভাড়া দিতে গেলে তাঁর গ্রাহক দরকার। অন্য সময় ব্যাঙ্ককের যে জায়গায় অন্ধকারের মধ্যে নিয়ন আলো ঝলমল করে, সেখানে দাঁড়িয়ে এক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার প্রতিনিধিকে তিনি বলেছেন, ‘‘ভাইরাসের ভয়ে ভীত। কিন্তু আমার গ্রাহক দরকার, যাতে ঘরের ভাড়া ও খাবারের খরচ তুলতে পারি।’’ পিমের মতো অবস্থা অ্যালিসেরও। তিনি বলেছেন, ‘‘সাধারণত সপ্তাহে ৩০০ থেকে ৬০০ ডলার রোজগার হয়। কিন্তু ব্যবসা বন্ধ, রোজগারও বন্ধ। আমরা এ গুলো করি কারণ আমরা গরিব। হোটেলের ভাড়া দিতে না পারলেই আমাদের বার করে দেবে।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এ বার চিড়িয়াখানার বাঘ

যদিও তাইল্যান্ড সরকার কাজ হারানো দের ১৫০ ডলার জরুরিকালীন সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। কিন্তু সেই ভাতা পাচ্ছেন না সেখানকার যৌনকর্মীরা। কারণ তাঁরা যে কর্মী সেটার প্রমাণ নেই। বিষয়টি নিয়ে সরকারকে চিঠি দিয়েছে যৌনকর্মীদের নিয়ে কাজ করা একটি সংস্থা। সেখানে সমস্যার সমাধানের জন্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। তাইল্যান্ডে চলছে আংশিক সময়ের কার্ফু। প্রয়োজনে তা ২৪ ঘণ্টার করা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে সেখানকার সরকারের তরফে।

আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ লক্ষ ছুঁইছুঁই, মৃত প্রায় ৭০ হাজার

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement