রাষ্ট্রপুঞ্জের মুখপাত্র স্টেফানি ডুয়ারিচ।
এ বার রাষ্ট্রপুঞ্জের রোষের মুখে পড়লেন আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার ট্রাম্প-সহ আমেরিকার সমস্ত রাজনৈতিক নেতাদের সতর্ক করে তারা জানিয়েছে, ভাবী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের দিন যেন কোনও রকম হিংসার ঘটনা না ঘটে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের মুখপাত্র স্টেফানি ডুয়ারিচ বলেন, “কোনও রাজনৈতিক নেতা যেন হিংসাকে প্রশ্রয় না দেন। অনুগামীদের হিংসার ঘটনায় যেন উৎসাহিত না করেন।”
সোমবারই মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই সতর্কবার্তা দিয়েছে, আগামী ২০ জানুয়ারি নয়া প্রসিডেন্টের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের দিন সশস্ত্র বিক্ষোভকারীরা ফের হামলা চালাতে পারে ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে। ফলে আগেভাগেই নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা ওয়াশিংটনকে। আমেরিকার প্রশাসন জানিয়েছে, ন্যাশনাল গার্ডের ১৫ হাজার সেনা মোতায়েন করা হবে গোটা প্রক্রিয়াটি সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে।
এ প্রসঙ্গে ডুয়ারিচের হুঁশিয়ারি, “আমরা আশা করছি শপথগ্রহণের আগে কিংবা পরে কোনও সময়েই হিংসার ঘটনা ঘটবে না। এই ধরনের ঘটনাকে কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।” তিনি আরও বলেন, “যাঁরা বিরোধিতা করছেন, হিংসার পথ না নিয়ে সাংবিধানিক পথে বিষয়টি মেটানোর চিন্তাভাবনা করুন।”
ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলার পর থেকেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিশ্ব জুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। তাঁকে ইমপিচ করার দাবি জোরালো হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পকে যদি ইমপিচ করা হয়, তা হলে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হতে পারে। আরও ক্ষেপে উঠতে পারেন ট্রাম্প সমর্থকরা। সূত্রের খবর, এমনই আশঙ্কা করে মার্কিন কংগ্রেসের একাংশ আবার ইমপিচমেন্টের পথে যেতে চাইছেন না। ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সও জানিয়ে দিয়েছেন, সংবিধানের ২৫তম সংশোধন করে ট্রাম্পকে সরানোর পথে যেতে তিনি রাজি নন। তিনি সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়ে বলেছেন, “আমি বিশ্বাস করি না যে, দেশের স্বার্থে এবং সংবিধান রক্ষার্থে এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”
অন্য দিকে, ট্রাম্পও পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তাঁকে যদি ইমপিচ করা হয়, তা হলে হিংসা আরও ছড়াবে। পাশাপাশি তিনি এটাও বলেছেন, ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে সমর্থকদের জমায়েত হওয়ার কথা বলে তিনি কিছু ভুল কাজ করেননি। ট্রাম্প আরও বলেন, “যে ভাবে ইমপিচমেন্টের হাওয়া তোলা হচ্ছে, তাতে দেশে একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়ারই সৃষ্টি হবে। আমেরিকার মানুষ বুঝতে পারবেন ইমপিচমেন্ট দেশের পক্ষে কতটা ক্ষতিকর।”