আরও এক বার সাক্ষাতের অপেক্ষায় দুই রাষ্ট্রনেতা নরেন্দ্র মোদী ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল চিত্র।
অনিশ্চয়তার মেঘ কাটল শেষমেশ। আমেরিকার হিউস্টনে নরেন্দ্র মোদীর সভায় যোগ দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রবিবার এমনই এক বিবৃতি জারি করে হোয়াইট হাউস। এই খবর পাওয়ার পর টুইট করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন মোদী। তিনি বলেন, ‘এটা একটা বিশেষ সৌজন্য। হিউস্টনের ওই সভায় ট্রাম্পকে স্বাগত জানানোর জন্য উদগ্রীব হয়ে রয়েছি।”
আগামী ২২ সেপ্টেম্বর মার্কিন মুলুকের হিউস্টনে ‘হাউডি মোদী’ নামে এক সভার আয়োজন করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিনরা। সেখানে যোগ দেবেন মোদী। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ট্রাম্পকেও। রবিবার বেলা পর্যন্তও ধোঁয়াশা ছিল ওই সভায় ট্রাম্প আসবেন কি না। তবে ওই দিন রাতেই বিবৃতি জারি করে হোয়াইট হাউস জানিয়ে দেয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট মোদীর সভায় আসবেন। ওই বিবিৃতিতে আরও বলা হয়, দুই নেতার সাক্ষাত্ ভারত ও আমেরিকার মানুষের মধ্যে একটা মজবুত বন্ধন গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। শুধু তাই নয়, দু’দেশের বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ককেও অনেক এগিয়ে নিয়ে যাবে।
আমেরিকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন স্রিংলা এ প্রসঙ্গে বলেন, “দুই রাষ্ট্রনেতা একমঞ্চে পাশাপাশি বসে। সভায় বক্তৃতা দিচ্ছেন। এমনই এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে চলেছে গোটা বিশ্ব। এটা শুধু দু’দেশের সম্পর্কের ব্যাপার নয়, দুই রাষ্ট্রনেতার ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও রসায়নের প্রতিফলন।”
আরও পড়ুন: পাক গুলির ছড়াছড়ি, ‘পুরোদস্তুর যুদ্ধের সম্ভাবনা’ দেখছেন ইমরান
আরও পড়ুন: নিজে না এলে রাজীবকে সহজে ধরা যাবে কি? নবান্নে পত্রাঘাত করেও সন্দিহান সিবিআই
হিউস্টনের ওই সভায় ৫০ হাজারেরও বেশি ভারতীয়-মার্কিনরা থাকবেন। যাঁদের অনেকেই আগামী মার্কিন নির্বাচনের ভোটার। গত সাত দশক ধরে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিনরা কী ভাবে আমেরিকার সমৃদ্ধিতে এবং দু’দেশের সম্পর্ককে মজবুত করতে সাহায্য করেছে মূলত সেই বিষয়টিই তুলে ধরা হবে ‘হাউডি মোদী’তে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ভারত-আমেরিকার সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে তাই এই মঞ্চকেই বেছে নিতে চাইছেন মোদী। এবং দুই-দেশের পক্ষেই তা লাভজনক হবে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
অগস্টে ফ্রান্সে জি-৭-এর ফাঁকে মুখোমুখি হয়েছিলেন ট্রাম্প-মোদী। এ বার দেখা হলে বিগত কয়েক মাসের তিক্ততা কাটিয়ে বহু প্রত্যাশিত বাণিজ্য-চুক্তি ঘোষণা হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি কাশ্মীর নিয়েও দু’জনের মধ্যেও কথা হতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মার্কিন মুলুকে থাকবেন মোদী। ২৭ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় তিনি বক্তৃতা দেবেন। তাঁর পরেই ওই সভায় বক্তৃতা দেওয়ার কথা পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাশ্মীর প্রসঙ্গই তুলে ধরতে চান ইমরান। সেখানে ট্রাম্পের সমর্থন পেলে সুবিধা হবে ভারতেরই।