গ্রিনল্যান্ড কিনতে চান ট্রাম্প! জল্পনা

ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ কয়েক জন কর্মকর্তার অবশ্য দাবি, কী ভাবে গ্রিনল্যান্ড কেনা যায়, তা নিয়ে কথাবার্তা শুরু করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৯ ০৩:৩৯
Share:

মার্কিন এক সংবাদমাধ্যমের দাবি, দেশের পরিসর বাড়াতে কানাডার উত্তরপূর্বে অবস্থিত গ্রিনল্যান্ড কিনতে চাইছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এ বার নজর গ্রিনল্যান্ডে। টাটকা খবর, ইউরোপ পুড়িয়ে ধেয়ে আসা তাপপ্রবাহ জুলাইয়ের শেষ থেকে এই বরফের রাজ্যেও হিমবাহ গলাতে শুরু করেছে। সিঁদুরে মেঘ দেখছেন আবহবিজ্ঞানীরা। তা হোক, মার্কিন এক সংবাদমাধ্যমের দাবি— দেশের পরিসর বাড়াতে কানাডার উত্তরপূর্বে অবস্থিত ওই দ্বীপটি এখন কিনতে চাইছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ব্যাপারটা নেহাতই প্রাথমিক স্তরে। হোয়াইট হাউসের মুখে কুলুপ। ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ কয়েক জন কর্মকর্তার অবশ্য দাবি, কী ভাবে গ্রিনল্যান্ড কেনা যায়, তা নিয়ে কথাবার্তা শুরু করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

Advertisement

ইয়ার্কি নাকি! এ ভাবে কোনও স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল চাইলেই কেনা যায় নাকি? প্রশ্ন তুলছেন নেটিজ়েনের একটা বড় অংশ। ট্রাম্পকে নিয়ে হাসিঠাট্টাও শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ বলছেন, ‘‘ট্রাম্প টাওয়ার ছেড়ে বেরিয়ে এলেও রিয়েল এস্টেটের মধু এখনও টানছে প্রেসিডেন্টকে।’’ প্রায় ২০ লক্ষ বর্গকিলোমিটারের এই দ্বীপটি ডেনমার্কের অংশ। এখানকার অধিবাসীর সংখ্যা ৬০ হাজারও নয়। ডেনমার্ক আদৌ এই দ্বীপ বিক্রির প্রস্তাব রেখেছে কি না, প্রশ্ন তুলেছে সংবাদমাধ্যমটি। নেটিজ়েনের কেউ কেউ আবার প্রেসিডেন্টের ভূগোলের জ্ঞানকেই কটাক্ষ করে বলছেন— ‘‘গ্রিনল্যান্ড যে ডেনমার্কের, ট্রাম্প সেটা জানেন তো!’’ কেউ বলছেন— ‘‘ট্রাম্প নিশ্চয়ই ওখানে একটা গল্‌ফ কোর্স খোলার মতলবে রয়েছেন।’’ গ্রিনল্যান্ড কেনার এই গুঞ্জন নিয়ে নিউ ইয়র্কে ডেনমার্কের দূতাবাসও মুখ খুলতে চায়নি।

সদ্য প্রাক্তন ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী লার্স রাসমুসেন অবশ্য খোঁচা দিতে ছাড়েননি। ট্রাম্পকে নিশানায় রেখে তিনি আজ টুইট করেন, ‘‘এপ্রিল ফুলের ঠাট্টা নাকি! মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্ঘাত মজা করছেন।’’ গ্রিনল্যান্ড প্রশাসন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে— গ্রিনল্যান্ড বিক্রি হওয়ার নয়। তবে কোনও দেশ যৌথ উদ্যোগে হাত বাড়াতে চাইলে স্বাগত।

Advertisement

কিন্তু আমেরিকার নজরে হঠাৎ গ্রিনল্যান্ড কেন? সংবাদমাধ্যমটির দাবি, ১৮৬৭-তে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জনসন প্রথম গ্রিনল্যান্ড কেনার প্রস্তাব দেন। তার পরে আর এক প্রেডিসেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান ১৯৪৬ সালে ১০ কোটি ডলারে এই দ্বীপটি কেনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কাজের কাজ কিছু হয়নি। তবে কয়েক দশক ধরেই আমেরিকার একটি সামরিক বিমান ঘাঁটি রয়েছে গ্রিনল্যান্ডে। অতলান্তিক এবং উত্তর মহাসাগরের মাঝখানে অবস্থিত এই দ্বীপটি ভূরাজনৈতিক অবস্থান এবং খনিজ সম্পদের কারণে চিন, রাশিয়া, আমেরিকা-সহ বহু দেশেরই নজরে রয়েছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

সেপ্টেম্বরেই ডেনমার্ক সফরে যাবেন ট্রাম্প। তখন কি সরাসরি গ্রিনল্যান্ড কেনা নিয়ে কথা হবে? কোনও ইঙ্গিত দেয়নি হোয়াইট হাউস।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement