অভিবাসন মেধার ভিত্তিতে, জানাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট

গ্রিন কার্ড দেওয়ার প্রক্রিয়াও নতুন করে সাজানো হবে, যাতে দক্ষ বিদেশি নাগরিকরা সহজে অভিবাসনের সুবিধা পেতে পারেন। 

Advertisement

সংবাদ সংস্থা 

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০১৯ ০৪:০৭
Share:

ছবি রয়টার্স।

দেশের অভিবাসন নীতিকে ঢেলে সাজানোর পথে হাঁটছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামিকালে সকালেই হোয়াইট হাউসের রোজ় গার্ডেন থেকে সে সংক্রান্ত ঘোষণা করতে চলেছেন তিনি। অনেক দিন আগেই ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, আমেরিকার অভিবাসন নীতিতে এ বার মেধা ও যোগ্যতাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। আগে যেমন পারিবারিক সংযোগকে গুরুত্ব দেওয়া হত, তা থেকে সরে এসে বিদেশি নাগরিকদের আমেরিকায় থাকার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হবে বেশি ডিগ্রিধারী দক্ষ পেশাদারদের।

Advertisement

যোগ্যতার ভিত্তিতে এই নীতিকে দেখার কথা প্রথম ভেবেছিলেন ট্রাম্পের জামাই জ্যারেড কুশনার। সেই লক্ষ্যে অভিবাসনের নয়া পরিকল্পনায় গুরুত্ব দেওয়া হয় সীমান্ত সুরক্ষায়। গ্রিন কার্ড দেওয়ার প্রক্রিয়াও নতুন করে সাজানো হবে, যাতে দক্ষ বিদেশি নাগরিকরা সহজে অভিবাসনের সুবিধা পেতে পারেন।

এখনকার নিয়মে ৬৬ শতাংশ গ্রিন কার্ড দেওয়া হয় পারিবারিক সংযোগ দেখে। দক্ষতার নিরিখে এখন গ্রিন কার্ড পান ১২ শতাংশ। ট্রাম্প প্রশাসন এটাই পাল্টাতে চাইছে। এখন প্রতি বছর ১১ লক্ষ গ্রিন কার্ড দেওয়া হয়। নয়া নীতিতে অর্ধেকেরও বেশি গ্রিন কার্ড দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে শুধু দক্ষতা বা যোগ্যতার ভিত্তিতে। যদি সেটা হয়, তা হলে এইচ ওয়ান বি ভিসায় আসা প্রবাসী ভারতীয়দের একটা বড় অংশ উপকৃত হবেন। যাঁদের অনেকেই এক দশকেরও বেশি সময় অপেক্ষা করেও গ্রিন কার্ড হাতে পাননি।

Advertisement

তবে বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে ট্রাম্প সরকারকে। অভিবাসন নীতিতে এমনিতেই দ্বিধাবিভক্ত কংগ্রেস। ট্রাম্প যদি রিপাবলিকানদের বোঝাতেও পারেন, বিরোধী ডেমোক্র্যাট হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ও সেনেটের সংখ্যালঘু নেতা চাক শুমার কখনওই ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে দেবেন না। যে বিষয়টি মাথায় রয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনেরও। তাই ২০২০-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই বিষয়টিকেই পাখির চোখ করে এগোতে চান ট্রাম্প। প্রশাসনের এক শীর্ষ স্থানীয় অফিসার এমন মন্তব্যই করেছেন । তাঁর কথায়, ‘‘অভিবাসন নিয়ে নয়া নীতির বিস্তারিত প্রস্তাব ডেমোক্র্যাটদের সামনে রাখা হবে। ওরা যদি এতে মাথা দিতে না চায়, এটা নির্বাচনের মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। আর যদি ওরা কথা বলতে চায়, তা হলে আপস আলোচনা এগোবে।’’ ট্রাম্প এবং কুশনার রিপাবলিকানদের সঙ্গে ইতিমধ্যে কথা বলেছেন বলে খবর।

ওই শীর্ষ অফিসারের মতে, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজ়িল্যান্ড, জাপান থেকে আসা নাগরিকরা পয়েন্ট ভিত্তিক প্রক্রিয়ার অন্তর্ভুক্ত হবেন। ব্যতিক্রমী ছাত্র, প্রতিভাধর ব্যক্তি সব সময়েই এগিয়ে থাকবেন। বয়স, ইংরেজি বলার দক্ষতা, হাতে থাকা চাকরির সুযোগের ভিত্তিতে পয়েন্ট দেওয়া হবে। স্বল্পবেতন প্রাপ্ত মার্কিন নাগরিককে সুরক্ষা দিতেই এই পরিবর্তনের কথা ভাবা হয়েছে বলে দাবি ওই অফিসারের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement