জুটিতে: ভোটের পরে প্রথম জনসভায় সস্ত্রীক ডোনাল্ড ট্রাম্প। জর্জিয়ার ভালডোস্টায়। রয়টার্স
বিদায়বেলা আসন্ন। তবু হোয়াইট হাউস ছাড়তে নারাজ বিদায়ী আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি হার মানতেও! কাল জর্জিয়ার একটি সভায় ফের তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘‘এ বারের ভোটে ভয়ঙ্কর জালিয়াতি হয়েছে। আমি হারিনি। দেদার ভোট চুরি হয়েছে আমার। আপনারা দেখে নেবেন, শেষ পর্যন্ত আমিই জিতব।’’
এখানেই শেষ নয়। সূত্রের খবর, জো বাইডেনের কাছে ১২ হাজার ভোটে হেরে যাওয়া জর্জিয়া ‘পুনর্দখলে’ কাল তিনি প্রদেশের গভর্নর ব্রায়ান কেম্পকে ফোনও করেন। তাঁর দাবি, বিশেষ অধিবেশন ডাকুন জর্জিয়ার গভর্নর। যাতে ওই প্রদেশে আরও এক বার মনপসন্দ প্রার্থী বাছাইয়ের সুযোগ এলেই বাজিমাত করতে পারেন তিনি। রিপাবলিকানদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত জর্জিয়া এ বার গিয়েছে ডেমোক্র্যাট জো বাইডেনের ঝুলিতে। জয়ীর শংসাপত্রও পেয়ে গিয়েছেন তিনি। কেম্প তাই ট্রাম্পের প্রস্তাব পত্রপাঠ খারিজ করেন বলে খবর। ট্রাম্পের দেওয়া ভোটারদের সই-অডিটের আর্জিও তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে খবর।
আগামী ৫ জানুয়ারি জর্জিয়া থেকে দুই রিপালিকান প্রার্থী সেনেটের ভোটে দাঁড়াচ্ছেন। দলীয় প্রার্থীদের হয়ে প্রচারেই এসেছিলেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের আগে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন বিদায়ী ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পও। জনসমাগম ভালই ছিল। এবং অধিকাংশের মুখেই ছিল না মাস্ক! এই সমাবেশে যোগ দেওয়ার আগেই তিনি জর্জিয়ার গভর্নরকে ফোন করেন। একই রকম আর্জি জানিয়ে অ্যারিজ়োনার গভর্নরকেও ট্রাম্প ফোন করেন বলে সূত্রের খবর। সাড়া মেলেনি সেখান থেকেও!
২০ জানুয়ারি বাইডেনের অভিষেক প্রায় নিশ্চিত। কিন্তু অভিযোগ, ট্রাম্পের নির্দেশেই গোয়েন্দা বাহিনীর কর্তারা এখনও বাইডেন শিবিরের সঙ্গে দেখা করেননি। ইচ্ছাকৃত বিলম্বের অভিযোগ খারিজ করে আজ পেন্টাগন জানিয়েছে, শীঘ্রই ক্ষমতা হস্তান্তর আলোচনায় যোগ দেবে তারা।