মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘দ্য বিস্ট’, লিমুজ়িন গাড়ির খ্যাতি জগৎজোড়া। মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরে আমেরিকা-উত্তর কোরিয়া শীর্ষ বৈঠকের ফাঁকে ক্যাপিলা হোটেল ঘুরে দেখতে বেরিয়ে সেই গাড়িতে নজর পড়ল কিম জং উনের। দেখতে চাইলেন গাড়ির ভেতরটা কেমন। আবদার রাখলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভিতরে উঁকি মারলেন কিম। কেমন সে গাড়ি? জানতে চোখ রাখুন গ্যালারির পাতায়।
পিছনের অংশ: প্রেসিডেন্ট-সহ পাঁচ জনের বসার ব্যবস্থা। চালকের অংশের সঙ্গে কাচের পার্টিশন, ওঠানো-নামানোর বোতাম শুধু প্রেসিডেন্টের আসনের পাশেই রয়েছে।
বুট: অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা, টিয়ার গ্যাস এবং ধোঁয়ার জাল বিস্তার করার যন্ত্র, প্রেসিডেন্টের গ্রুপের রক্তের প্যাকেট রয়েছে গাড়ির ভিতর।
পিছনের আসন: প্রেসিডেন্টের আসনের পাশেই স্যাটেলাইট ফোন, যেখান থেকে সরাসরি ফোন করা যাবে ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং পেন্টাগনকে।
তেলের ট্যাঙ্ক: ধাতুর বর্ম ও বিশেষ ফোম দিয়ে মোড়া ট্যাঙ্ক, যাতে সরাসরি গুলি লাগলেও বিস্ফোরণ হবে না।
বডি: স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম, টাইটেনিয়াম এবং সেরামিক দিয়ে তৈরি পাঁচ ইঞ্চি পুরু বডি। রকেট বা আইইডি হামলার মোকাবিলা করতে পারবে এই গাড়ি।
দরজা: আট ইঞ্চি পুরু ধাতু দিয়ে তৈরি গাড়ির দরজা। একটি দরজার ওজন বোয়িং ৭৫৭ বিমানের দরজার সমান। দরজা বন্ধ থাকলে কোনও রাসায়নিক হামলা থেকেও নিরাপদ থাকবেন গাড়িতে থাকা প্রেসিডেন্ট।
নীচের কাঠামো: পুরু স্টিলের কাঠামো। শক্তিশালী বিস্ফোরণেও কিছু হবে না।
চালক: মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের কাছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পুলিশ, যিনি যে কোনও আপতকালীন অবস্থাতেই গাড়ি চালিয়ে প্রেসিডেন্টকে নিয়ে পালাতে পারবেন।
প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা: কাচ ও পলিকার্বনেটের পাঁচটি স্তর দেওয়া জানলা, যা কোনও বুলেট ভেদ করতে পারবে না। চালকের আসনের পাশের জানলাটি ছাড়া অন্য কোনও জানলাই খোলা যায় না। এই জানলাটিও মাত্র তিন ইঞ্চি খোলে। তা ছাড়া, শটগান, টিয়ার গ্যাস ছোড়ার কামান রয়েছে গাড়িতে।
চালকের অংশ: চালকের অংশে ড্যাশবোর্ডে জিপিএস এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে নাইট ভিশন ক্যামেরা এবং টিয়ার গ্যাস গ্রেনেড লঞ্চার।