যদিও ট্রাম্পের আইনজীবীরা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ফাইল চিত্র ।
আমেরিকার এক বিশিষ্ট মহিলা প্রাবন্ধিককে ধর্ষণ করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প! শুধু তাই নয়, ধর্ষণের পর তাঁকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করে উপহাসও করেছিলেন ট্রাম্প। প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার একটি মামলার শুনানির সময় এমনটাই অভিযোগ উঠল আমেরিকার একটি আদালতে। আমেরিকার ওই বিশিষ্ট প্রাবন্ধিকের নাম ই জ়িন ক্যারল।
যদিও ট্রাম্পের এক জন আইনজীবী এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, ক্যারল অর্থ এবং খ্যাতি পাবেন বলেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছেন।
৭৯ বছর বয়সি ক্যারলের দাবি, নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি ম্যানহাটনের ফিফথ অ্যাভিনিউতে একটি বিলাসবহুল ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে তাঁকে যৌন নির্যাতন করেন ট্রাম্প। অভিযোগ, ট্রাম্প মহিলাদের অন্তর্বাস উপহার দেওয়ার বিষয়ে পরামর্শ চাওয়ার নাম করে একটি পোশাক পরিবর্তন করার কক্ষে (ট্রায়াল রুমে) ক্যারলকে ডেকে নিয়ে যান এবং সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করেন।
ক্যারলের আইনজীবী শন ক্রাউলি ম্যানহাটন আদালতকে বলেছেন, “ট্রায়াল রুমে ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর ক্যারলের সঙ্গে জোরজবরদস্তি শুরু করেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের গায়ের জোরের কাছে পেরে ওঠেননি ক্যারল।’’
ক্যারল নিজেও মঙ্গলবার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ২০১৯ সালে নিউ ইয়র্কের একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রথম মুখ খোলেন ক্যারল।
বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে ক্যারল ‘মিথ্যা’ কথা বলছেন বলেও দাবি করেন ট্রাম্প। আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এই দাবিও করেন যে, ক্যারলের সঙ্গে তাঁর কখনও দেখা হয়নি।
এর পরই ক্যারল ২০১৯ সালে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন। কিন্তু সময়ের পরে অভিযোগ করার কারণে ধর্ষণের মামলা রুজু করতে পারেননি। কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে নিউ ইয়র্কে একটি নতুন আইন কার্যকর হওয়ায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন ক্যারল।
প্রসঙ্গত, শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে মুখ না খুলতে পর্নতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছিলেন ট্রাম্প। যদিও আপাতত তিনি পুলিশ এবং জেল হেফাজত এড়িয়েছেন। কিন্তু আমেরিকার আইন বলছে, শেষ পর্যন্ত সবক’টি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে ১৩৬ বছর জেলে কাটাতে হতে পারে সে দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে! পাশাপাশি, ব্যবসা সংক্রান্ত জালিয়াতির অভিযোগে তাঁকে কয়েক দিন আগেই জিজ্ঞাসাবাদ করেন আমেরিকার এক গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকেরা।